বিধান নস্কর, দমদম: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের ‘অ্যাকশন মোডে’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। সল্টলেক, বাগুইআটি, কৈখালি, নিউ আলিপুর-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় দলে দলে ভাগ হয়ে ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চলছে। রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরাই এই মুহূর্তে ইডির নজরে। গোটা দুর্নীতি কাণ্ডের জট খুলতে ইডির এই অভিযান। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে দেখেই অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন কৈখালির এক ব্যবসায়ী। তথ্য গোপন করতে নিজের মোবাইলটি (Mobile Phone) তিনি ছুড়ে দিলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। এর আগে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও তথ্য লুকোতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন সিবিআইয়ের হাতে। হানিসের ক্ষেত্রেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর মোবাইলটি উদ্ধার করেন।
মঙ্গলবার কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাকিবুরের নামে ওই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকিবুর নয়, এই ফ্ল্যাটে থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। তাঁর ফ্ল্যাটেই এদিন যায় ইডি। তদন্তকারীদের দেখেই নিজের মোবাইলটি ছুড়ে দেন। পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে তিনি মোবাইলটি পড়ে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোবাইলটি উদ্ধার করেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান। ফ্ল্যাটেই রয়েছেন হানিস। রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় শহরে অভিযান ইডির, সল্টলেক-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি]
গত বছরও এমনই একটি কাণ্ড ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলে। তদন্তকারীদের হাত থেকে তথ্য গোপন করতে তিনি শৌচালয়ে ঢুকে পাশের পুকুরে নিজের মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন। অনেক পরে বিশেষজ্ঞরা সেই মোবাইল উদ্ধার করেন। উচ্চ প্রযুক্তির মোবাইল হওয়ায় সেখান থেকে তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।