অর্ণব আইচ: রাজ্যে অন্তত ৯০০টি চালকল ও গমকলের উপর এবার নজর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযুক্তদের সঙ্গে এই প্রত্যেকটি মিলের মালিকদের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। বুধবার ব্যাঙ্কশালের বিশেষ আদালতে রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযুক্ত শংকর আঢ্য ও বিশ্বজিৎ দাসকে তোলা হয়। এছাড়াও বাকিবুর রহমানকে তোলা হয় ভারচুয়াল পদ্ধতিতে। ২ জুলাই পর্যন্ত বাকিবুর রহমান ও বিশ্বজিৎ দাস এবং ৩ জুলাই পর্যন্ত শংকর আঢ্যকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
ইডির সূত্র জানিয়েছে, শংকর আঢ্যর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যে বহুবার ফোনে কথা হয়েছে, সেই প্রমাণ মিলেছে। ইডির দাবি, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলায় চালকল অথবা গমকল রয়েছে। ইডির পক্ষ থেকে মিলগুলির তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় ৯০০টি মিলের নাম। কোন জেলায় ক’টি করে মিল রয়েছে, সেই তালিকাও তৈরি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: প্রহৃত মহিলাই শিশুর মা, বিরাটিতে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় নয়া মোড়]
এর মধ্যে সরকারিভাবে রেশনের চাল ও গম ক’টি মিলে পৌঁছয়, সেটিরও হিসাব করে হয়েছে। ওই মিলগুলির মালিকদের মধ্যে কতজনের সঙ্গে রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমানদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল, ইডির গোয়েন্দারা সেই তথ্যই জানার চেষ্টা করছেন। সেইমতো ওই মিলগুলির মালিকদের তলব করে জেরাও করা হতে পারে। ইডির মতে, রেশনের চাল ও গম ওই মিলগুলিতে পাঠানোর নাম করেই দুর্নীতি হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত রেশন বন্টনে ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আগেই এই মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন মিল মালিককে জেরাও করা হয়। অভিযান চালানো হয় একের পর এক মিলে। মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ব্যকিবুর রহমান নিজেও মিলের মালিক। এবার তালিকায় থাকা অন্য মিলগুলির মালিকদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইডি।