সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির পৌষ মাস, রেশন ডিলারদের সর্বনাশ! আর সর্বনাশের ভিলেন হল পিঁয়াজ। একসময় সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর এখন তা নামতে নামতে ৫০ টাকা কেজি দরে চলে এসেছে। কোথাও কোথাও এর থেকেও কমেছে দাম। এর ফলে আমজনতা খুশি হলেও পিঁয়াজের এই হইহই করে দাম কমাটাই রেশন ডিলারদের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। এমনকী এই অবস্থায় ৫৯ টাকার বদলে ৪৪ টাকায় রেশন দোকানে পিঁয়াজ বিক্রি করতে হবে বলে আক্ষেপও করছেন।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন (AIFPSDF)’ র সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘প্রথমে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছিল রেশন দোকানগুলিতে আর পিঁয়াজ বিক্রি করা হবে না। পরবর্তীতে ফের পিঁয়াজ পাঠায় কৃষি বিপণন দপ্তর। তাতে আমাদের ৪৪ টাকা কেজি প্রতিতে রেশন দোকানে পিঁয়াজ বিক্রি করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: কাঁকুড়গাছির বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে জখম দমকল কর্মী ]
তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে রেশন দোকানগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে, কেউ এক কুইন্টালের বেশি পিঁয়াজ নেবেন না। আর পচা, ওজনে কম পিঁয়াজের বস্তা কিনবেন না। তাছাড়া রেশন দোকান থেকে আর যাতে পিঁয়াজ বিক্রি না করা হয়। তার জন্য খাদ্য দপ্তরের কাছে দরবারও করছেন রেশন ডিলাররা। এপ্রসঙ্গে খাদ্য দপ্তরের মুখ্যসচিব মনোজ আগরওয়াল বলেন, ‘কৃষি বিপণন দপ্তর যখন বলবে তখন থেকে আমরা রেশন দোকানে পিঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেব। আমরা শুধুমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করছি।’
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে একাধিক রদবদল, জায়গা পাবেন অন্য দল থেকে আসা নেতারাও ]
দুর্গাপুজোর সময় থেকে আচমকা পিঁয়াজ দেশজুড়ে মহার্ঘতম আনাজে পরিণত হয়। ৩০-৩৫ টাকার পিঁয়াজ একলাফে পৌঁছে গিয়েছিল ১০০ টাকার উপরে। এমনকী ডিসেম্বর মাসে কলকাতার কয়েকটি বাজারে ১৫০ টাকায় পৌঁছে যায়। তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আমদানি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার দৌলতে সবথেকে বিপাকে পড়েছিলেন দু’বেলা হেঁশেল সামলানো গৃহিণীরা। তাই সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কলকাতার ৯৩৫টি রেশন দোকানের মাধ্যমে ৫৯ টাকা কেজি প্রতি পিঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
The post দাম কমার জের, রেশনে পিঁয়াজ বিক্রিতে অনীহা ডিলারদের appeared first on Sangbad Pratidin.