সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “‘আদিপুরুষ’-এ রাম, রামায়ণ-এর অপমান”- অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হিন্দু সেনা। এবার এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। একেই বক্স অফিসে ভরাডুবি, সেখানে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো একের পর এক আইনি জটিলতায় জড়াচ্ছে ‘আদিপুরুষ’।
এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ, “বজরংবলি এবং রাবণকে আদ্যোন্ত বিকৃত রে দেখানো হয়েছে। ‘আদিপুরুষ’ দেখে মনে হচ্ছে এ যেন ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে।” চিত্রনাট্যকার মনোজ মুনতাসিরকেও তুলোধোনা করা হয়েছে ওই অভিযোগনামায়।
অভিযোগ, “‘আদিপুরুষ’ সিনেমার সংলাপ উদ্ভট, একেবারে রদ্দিমার্কা। শুধু তাই নয়, রামায়ণ যুগের গর্বকে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে ‘আদিপুরুষ’। সৃজনশীল স্বাধীনতার নামে কুরুচিকর সংলাপ লিখেছেন মনোজ।” আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায়।
[আরও পড়ুন: নেপালের কোর্টে ‘শাপমোচন’! তবুও মেয়রের হুঙ্কার, ‘শাস্তি দিলেও আদিপুরুষ দেখাব না’]
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগনামায় সংযোজন, “‘আদিপুরুষ’ ছবিতে রাবণের ভূমিকায় সইফ আলি খানকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তা ব্রাহ্মণ জাতির ভাবাবেগে আঘাত করা। ছবিতে দেখানো হয়েছে হিংস্র হাবভাব করে ব্রাহ্মণ রাবণ কাঁচা মাংস খাচ্ছে। যেটা হিন্দু সভ্যতার জন্য অপমানের।”
প্রসঙ্গত, বিতর্কে পড়ে সংলাপ বদলেছে ‘আদিপুরুষ’-এর। ক্ষমা চাওয়া হয়েছে প্রযোজনা সংস্থা টি সিরিজের তরফ থেকেও। তবে তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। হিন্দুধর্মে আঘাতের অভিযোগে বারবার আইনি জটিলতায় পড়তে হচ্ছে প্রভাস-কৃতীর ছবিকে।