সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নব্বইয়ের দশকের অভিনেত্রী। তবে আজও রবিনা ট্যান্ডনের উপস্থিতি পুরুষদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। মাঝে একদশক অভিনয় থেকে বিরতি নিলেও ক্যামেরা কিংবা লাইমলাইট থেকে দূরে থাকেননি। কখনও বিভিন্ন রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে তাঁকে দেখা গিয়েছে, আবার কখনও বা বলিউডের হাইপ্রোফাইল পার্টির লাল গালিচায় দ্যুতি ছড়িয়েছেন রবিনা (Raveena Tandon)। তবে তারকা হলেও তিনি যে কতটা 'মাটির মানুষ', সম্প্রতি তা আবারও প্রমাণিত হল।

দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ের এক বসতিতে গণবিবাহের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন রবিনা ট্যান্ডন। পরনে লাল রঙের সালোয়ার। হালকা মেকআপ। ঠোঁটে মুক্তঝরা হাসিতেই সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল তাঁকে। তবে বাজিমাত করলেন নিজস্ব আচরণে। সেই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের বিয়ের সোনার বালাজোড়াটাই উপহার দিয়ে এলেন এক নবদম্পতিকে। বিয়ের সময় থেকেই সেই বালাজোড়া রবিনা ট্যান্ডনের হাতে রয়েছে। এযাবৎকাল হাত থেকে সেই গয়না খোলেননি তিনি। বালার একটায় খোদাই করা তাঁর স্বামীর নাম। আর অন্যটায় খোদাই করা তাঁর নাম। বিয়ের সময়ে বিশেষ এই বালাজোড়া শ্বশুরবাড়িত তরফে উপহার পেয়েছিলেন রবিনা। এদিন গণবিবাহের অনুষ্ঠানে সেই দুর্মূল্য সোনার বালাজোড়াই উপহার দিয়ে এলেন রবিনা ট্যান্ডন। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় ভাইরাল।
বালাজোড়া উপহার দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গেল তাঁকে। মাইক হাতে রবিনা জানালেন, "নবপরিণীতা স্ত্রীয়েরা ৪০ দিন হাতে চূড়া পরে থাকেন। আর আমি সেই বিয়ের দিন থেকে এই বালাজোড়া পরে রয়েছি। একটায় স্বামীর নাম লেখা, আরেকটায় আমার নাম। এই দুটো বালা আমি উপহার স্বরূপ দিলাম।" একথা বলেই সেই বসতির কনের হাতে হাসিমুখে বালা পরিয়ে দিলেন রবিনা। যে ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত দেখে অনুরাগীরা তাঁকে কুর্নিশ জানালেন। কেউ বা আবার তাঁর সিনেমার গান ধরেই করেই বললেন, 'তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত'। মানবিক রবিনা ট্যান্ডনের উদারতা দেখে ধন্য ধন্য করছেন সকলে।
প্রসঙ্গত, গতবছরই ফিল্মি কেরিয়ারের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন রবিনা ট্যান্ডন। নব্বইয়ের দশকের সুপারহিট নায়িকাকে গত একদশক ধরে টেলিপর্দায় রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যেত। তবে ২০২৪ সালে ওটিটি ফ্ল্যাটফর্মে ডেবিউ করে ফেলেছেন তিনি। 'আরণ্যক', 'কর্মা কলিং' ওয়েব সিরিজের সুবাদে ওয়েব ময়দানে পা রেখেছেন রবিনা।