সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ব্যাংক দিন দুই আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল, করোনার মারে চলতি অর্থবর্ষে দেশের সার্বিক জাতীয় উৎপাদন অর্থাৎ জিডিপির (GDP) বড়সড় সঙ্কোচন হবে। শুক্রবার সেই আশঙ্কায় সরকারিভাবে শিলমোহর দিল রিজার্ভ ব্যাংক। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়ে দিলেন, করোনার মারে চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপির সঙ্কোচন হতে পারে ৯.৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে, চলতি বছরের শেষ ত্রৈমাসিক থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। খারাপ সময় শেষ হয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্র চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এবং বহু ক্ষেত্রেই উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
গত বুধবার আরবিআইয়ের নতুন মনিটারি পলিসি (RBI Monetary Police ) কমিটির বৈঠক হয়। যাতে তিনজন নতুন সদস্য প্রথমবার যোগ দেন। এই বৈঠকেই জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে -৯.৫ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) জানিয়েছেন, সর্বসম্মতিক্রমেই রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে ও অর্থনীতিকে সচল করতে এর আগে বেশ কয়েক দফা রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই (RBI)। তবে এবার আর সেই পথে হাঁটেনি তারা। বর্তমানে রেপো রেট ৪ শতাংশ। ও রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাংক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেয়, তা হল রেপো রেট। রেপো রেট কমানোর অর্থ সুদের হার কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে উৎসাহিত করা। যাতে মানুষ আরও ঋণ নেয় ও বাজারে টাকার জোগান বাড়ে। এবার যেটা করল না রিজার্ভ ব্যাংক।
[আরও পড়ুন: এবার ২৪ ঘণ্টা মিলবে RTGS পরিষেবা, নয়া সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার]
জিডিপির পূর্বাভাস নিয়ে হতাশার কথা শোনালেও, অর্থনীতি যে খুব শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর। তাঁকে বলতে শোনা গেল, চলতি আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে করোনা অতিমহামারীর প্রভাব থেকে মুক্ত হবে ভারতের অর্থনীতি। তারপর থেকেই শুরু হবে আর্থিক বিকাশ। করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা স্পষ্ট ইঙ্গিত পাচ্ছি, প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির যে সংকোচন দেখা গিয়েছিল, তা এখন অতীত। অন্ধকারে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। মানুষ আর আতঙ্কিত নয়, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে।