সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপপ্রধান খুন এবং পরপর দশটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগে আটজনের প্রাণহানির ঘটনায় এখনও থমথমে রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি। আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়েছে শাসকদল তৃণমূলও। তবে সঠিক তদন্ত না হলে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই সিটের উপর আস্থা রাখতে পারেনি কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তদন্তভার। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। SIT গঠন করেছে। গ্রেপ্তারিও চলছে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আমরা আদালতের রায়ের বিরোধিতা করব না। বরং সহযোগিতাই করব। তবে সিবিআই আদৌ সঠিক বিচার করতে পারবে? কারণ, বিজেপির ভাই ইডি ও সিবিআই। বিজেপির হয়ে সিবিআই কাজ করবে। আজ পর্যন্ত একটি মামলারও নিষ্পত্তি করতে পারেনি সিবিআই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি, নন্দীগ্রাম গণহত্যা, হাথরস, উন্নাও, লখিমপুর, অসম গণহত্যার মতো কোনও মামলারই নিষ্পত্তি হয়নি। তবে এবার বগটুই নিয়ে রাজ্য সরকার কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলতে পারবেন না কেউ।” সুবিচার না পেলে প্রয়োজনে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “যদি দেখা যায় ন্যায়বিচার হয়নি, সিবিআই (CBI) ষড়যন্ত্রকারীদের আড়াল করছে, তাহলে প্রতিবাদ করবই।”
[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে অতিসক্রিয়তা! বিজেপির ভূমিকার নিন্দায় সরব হিন্দু মহাসভা]
হাই কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য পুলিশ ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না বলেই দাবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। এবার নিরীহ গ্রামবাসীরা সুবিচার পাবেন বলেই আশা তাঁর। রাজ্য বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya) হাই কোর্টের রায় প্রসঙ্গে টুইটে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে, বিধানসভায় এখনও অব্যাহত বগটুই কাণ্ডের আঁচ। মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) বিধায়করা। স্লোগান দিতে দিতে চিৎকার চেঁচামেচি করেন তাঁরা। এরপর ওয়াকআউট করেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা।