ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কোভিড পরিস্থিতিতে জমি-বাড়ি কেনাবেচার ক্ষেত্রে বড় ছাড় দিয়েছিল রাজ্য। সেই ছাড়ের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াল রাজ্য সরকার। জমি-বাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এই সুবিধা মিলবে চলতি বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বুধবার রাজ্য বাজেটে এমনই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
গত বাজেটেও জমি-বাড়ি দলিল রেজিস্ট্রেশনে বিশেষ ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আবাসন শিল্পকে চাঙ্গা করতে, ফ্ল্যাট-জমি কেনাবেচা বাড়াতে রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটিতে বিরাট ছাড় দেওয়া হয়েছিল। জমি-বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ও সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রচুর ছোট ফ্ল্যাট ও জমি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে রাজ্যে। সেই ছাড়ের মেয়াদ মার্চেই শেষ হয়ে যেত। এবার সেই ছাড়ের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল। এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোয় ৩০ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে, যা দেশের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে।
[আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের পর এবার ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’, বাজেটে বেকারদের জন্য বিরাট ঘোষণা চন্দ্রিমার]
কোভিড অতিমারির কারণে দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছিল। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা কমে গিয়েছে। কোভিডের পরবর্তী সময়ে মানুষ বিনিয়োগ করে জমি, বাড়ি, কেনা, বিক্রি বা লিজ নিতে সেভাবে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়ে আবাসন শিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মী এবং শ্রমিকরা। রিয়েল এস্টেটের এই বাস্তব সমস্যা উপলব্ধি করে অর্থনীতিকে ফের ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য রাজ্য সরকার বাজেটে সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপ নেয়।
বাজেট রাজ্য জানায়, যে হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয় সেই স্ট্যাম্প ডিউটির হার ২ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব হয়। আগে রাজ্যের শহর এলাকায় ৬ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। রাজ্য সরকারের ছাড়ের ফলে তা হয় মাত্র ৪ শতাংশ। একইভাবে গ্রামীণ এলাকার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে স্ট্যাম্প ডিউটি ২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে গ্রামীণ এলাকায় স্ট্যাম্প ডিউটি হয় মাত্র ৩ শতাংশ। এর ফলে শুধুমাত্র শহর নয়, জেলা, পুরসভা মিউনিসিপ্যালিটির বাসিন্দারাও আবাসন কিনলে তাদের এখন অনেকটাই আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।