রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) আসার আগে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ল। বঙ্গ বিজেপির সংগঠন ভেঙে চুরমার। দলের সেই পরিস্থিতির কথা জানাতে চেয়ে নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎপ্রার্থী বিক্ষুব্ধ শিবির। তাঁরা নাড্ডাকে ইমেল করে দেখা করার জন্য সময় চাইলেন।
৮ ও ৯ জুন বাংলায় থাকবেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। ৮ তারিখ ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে দলের রাজ্য কার্যকারিণী বৈঠকে যোগ দেবেন বিজেপি সভাপতি। পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ জেলায় যেতে পারেন। বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবির তথা দলের আদি নেতা সামসুর রহমান শনিবার রাতে একটি মেল করেছেন জে পি নাড্ডাকে। সামসুর রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি। পেশায় স্কুল শিক্ষক। দলের কিছু পুরনো নেতাদের নিয়ে রাজ্য সফরে আসা নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন সামসুর। বিভিন্ন জেলার পুরনো নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে তুলেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: তালবানি মানসিকতা! স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ায় হিংসা, হাত কেটে ‘শাস্তি’ বেকার স্বামীর]
সেই মঞ্চে সামসুর ছাড়াও রয়েছেন দীপক সরকার-সহ দলের পুরনো নেতা-কর্মীরা। নাড্ডাকে বিক্ষুব্ধ শিবিরের তরফে পাঠানো ই-মেলে লেখা হয়েছে, ”২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে যে নেতৃত্ব রয়েছেন তাদের অধীনে দলের সংগঠনের আসল ছবিটা কি সেটাই আপনাকে জানাতে চাই। আপনি ৮ ও ৯ জুন বাংলায় থাকবেন। দশ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।” দলের ‘প্রকৃত’ কর্মীদের তরফেই এই চিঠি তিনি দিচ্ছেন বলে নাড্ডাকে ই-মেলে জানিয়েছেন সামসুর রহমান।
[আরও পড়ুন: ডিপোয় থাকা দাহ্য রাসায়নিকের কথা জানতই না দমকল, বাংলাদেশ অগ্নিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এদিকে, বিক্ষুব্ধ শিবিরের তরফে সাক্ষাতের আরজি জানিয়ে নাড্ডাকে যাঁরা চিঠি দিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে দলের রাজ্য সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারনের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তারা। বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে এই বিক্ষুব্ধ অংশের অভিযোগ, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সাফল্যের যারা কারিগর তাদেরকে সংগঠনে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। পরিযায়ীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষুব্ধদের দাবি, অযোগ্য-পদার্থ রাজ্য নেতাদের অবিলম্বে সরাতে হবে।
৮ জুন রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি যদি তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি না হন তাহলে বৈঠকস্থল ন্যাশনাল লাইব্রেরির সামনে ধরনায় বসতে পারেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। সবমিলিয়ে নাড্ডার সফরের আগে দলের এই ডামাডোল পরিস্থিতি চিন্তায় রাখছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরকে।