সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরতে পরতে রহস্য। কলকাতা হাই কোর্টে এবার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির আঁতুড়ঘর এসএসসি অফিস। ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে এসএসসি অফিসের তিনতলায়।
গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার মোট ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট (OMR Shit) এসএসসি অফিসে রয়েছে। ওই ওএমআর শিট খতিয়ে দেখার বরাদ পায় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসা। ওই সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক পঙ্কজ আগরওয়ালকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: ফের জেল হেফাজত অনুব্রতর, আদালতে রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার আরজি আইনজীবীর]
ওই সংস্থার মাধ্যমে ওএমআর শিট স্ক্যানিং করা হয় এসএসসি (SSC) অফিসের তিনতলায়। ওই সংস্থার কাছে ওএমআর শিটের নম্বর সঠিক রয়েছে। তবে এসএসসি অফিসের সার্ভারে ওএমআর শিটের কারচুপি করা হয়েছে। সেখানেই বাড়ানো হয়েছে নম্বর। একথা আগে আদালতেও জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই রিপোর্টে আরও জানায়, এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার ১৬৩টি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে। এসএসসি সুপারিশ অনুযায়ী ২৩ হাজার ৪৪৯জন চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা এখনও কাজ করছেন। অর্থাৎ ৩০ শতাংশের চাকরি হয়েছে বেআইনিভাবে।
এসএসসি অফিসে বসে কীভাবে মুড়িমুড়কির মতো ওএমআর শিটের নম্বর বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রায় সকলে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে। নইলে এত বড় অপরাধ সম্ভব নয় বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। স্বাভাবিকভাবেই সিবিআইয়ের বিস্ফোরক দাবি নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সিবিআইকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, “এটা কোনও একজনের অপরাধ নয়। সংঘবদ্ধ অপরাধ।” রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “এটা কোনও একদিন অপরাধ নয়। এটা দীর্ঘদিনের সংঘবদ্ধ অপরাধ।”