সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ধৃত রেড রোড দুর্ঘটনায় (Red Road Accident) ঘাতক বাসের চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ১১টা নাগাদ কামারহাটি অঞ্চল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। সেদিন কীভাবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল জেরার মুখে পুলিশকে তা জানিয়েছেন অভিযুক্ত বাসচালক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাসটির ব্রেকে সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছেন চালক সৈয়দ ইবরার হোসেন। কোনওভাবেই ব্রেক ধরছিল না মিনিবাসটির। এমন পরিস্থিতিতে বাসের সামনে আসা এক বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনা ঘটান। শনিবারই তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা পুলিশ। রাতে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। রবিবার আদালতে তুলে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নারকেলডাঙায় বিজেপি নেতা খুনের অভিযোগে হিন্দমোটর থেকে গ্রেপ্তার দুই]
করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যে দীর্ঘদিন বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ১ জুলাই থেকে পের বাসের চাকা গড়ায়। সেদিনই রেড রোডে এক পুলিশ কর্মীকে পিষে দেয় হাওড়াগামী মিনিবাসটি। সেই থেকে পলাতক ছিলেন বাসচালক। অবশেষে শনিবার রাতে তাঁর হদিশ মিলল। পুলিশ জানিয়েছে, মিনিবাসের চালক জানত যে, অতিরিক্ত গতিতে বেপরোয়াভাবে বাস চালালে কারও মৃত্যু হতে পারে। তাই তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে।
ট্রাফিক বিভাগ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে, শেষের দিকে অতিরিক্ত গতিতে ছিল বাসটি। তবে তার গতি কত ছিল, তা জানতে ফরেনসিকের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশকর্মীর দেহের ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর ডান পা পিষে গিয়েছে। দেহের অন্যান্য জায়গায় আঘাত ও হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে পালিয়ে যান তিনি। জানা গিয়েছিল, তার বাড়ি মেটিয়াবুরুজ এলাকায়। তবে কামারহাটিতে তিনি কী করছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।