সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি ভাঙা আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া এক নয়। ফলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করলেই তা প্রতারণা হতে পারে না। জানিয়ে দিল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি নিম্ন আদালতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এক যুবককে। এরপর ওই যুবক মামলা করেন বম্বে কোর্টে। এদিন সেই মামলার শুনানিতেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, সহবাসের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা মানেই প্রতারণা নয়।
পালঘরের বাসিন্দা কাশীনাথ ঘারতের (Kashinath Gharat) বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সঙ্গীনীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহবাস করার পর জানান তাঁকে বিয়ে করবেন না। প্রাথমিক ভাবে কাশীনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। যদিও নিম্ন আদালতের বিচারপতি কাশীনাথকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেন। তবে প্রতারণার দায়ে তাঁর এক বছরের জেলও হয়। কাশীনাথ এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাইয়ের (Justice Anuja Prabhudesai of Bombay High Court) পর্যবেক্ষণ, সঙ্গীনীর সাক্ষ্য অনুযায়ী কোনওভাবেই তিনি কাশীনাথের কাছে প্রতারিত হননি। শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল দু’জনের সম্মতিতেই।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত, হবু স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মডেলের়]
যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে ও সাক্ষীদের বক্তব্য শোনার পর এদিন বম্বে হাইকোর্ট বলে, “অভিযুক্ত মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। ফলে দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করতে না চাওয়াকে প্রতারণা বলা ঠিক হবে না।”
[আরও পড়ুন: বিতর্কিত রায় দেওয়ার ‘উপহার’, বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতিকে ১৫০ কন্ডোম মহিলার]
রায়দানের সময় বিচারপতি আরও বলেন, “এইসব ক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হবে যে অভিযুক্ত বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই কারণে ভুয়ো তথ্য দিয়েছিল সঙ্গীনীকে। যদি প্রমাণ হয় বিয়ের বিষয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়েছিল অভিযুক্ত, তবেই তাকে প্রতারক বলে বিবেচনা করা হবে।”