বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। শতাব্দীপ্রাচীন দলটি ফের আন্দোলনের অস্ত্র ক্ষুরধার করে তুলছে। রবিবারই শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ‘সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলের রাজনৈতিক অস্ত্র বিজেপি বিরোধীদের কতখানি কাছাকাছি আনতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় অবশ্য রয়েছে। কারণ, কংগ্রেস (Congress) ‘দাদাগিরি’র রাস্তা থেকে না সরলে বিজেপি বিরোধী জোট যে হোঁচট খাবে, এদিন সেই ইঙ্গিত দেন লালুপ্রসাদের পুত্র ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
রবিবার তেজস্বীর বক্তব্য, কংগ্রেস যেভাবে চালিকা শক্তির মনোভাব নিয়ে চলছে সেই অবস্থা থেকে সরে আসতে হবে। শক্তিশালী আঞ্চলিক দলের হাতে বিরোধী জোট পরিচালনার দায়িত্ব ছাড়তে হবে। লালুপ্রসাদ ও নীতিশ কুমাররা সমস্ত বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ আগেও করেছেন। এখনও করছেন। কংগ্রেসকে বিষয়টা বুঝতে হবে। বিজেপির (BJP)বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে যেখানে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী সেখানে তাঁদেরকে চালকের আসন ছেড়ে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রামে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ! শুভেন্দুর গড়ে বিতর্ক]
এদিনও অবশ্য রাহুল ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব ছিল গেরুয়া শিবির। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ভোপালের সভা থেকে বলেন, “মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহ করেছিলেন দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে। আর আজ কংগ্রেস সত্যাগ্রহ করছে রাহুল গান্ধীর জন্য। যিনি দলিতদের অপমান করেছেন।” তবে এদিন রণংদেহি মূর্তি ধারণ করেন প্রিয়াঙ্কা। কয়েকদিন আগেই সংসদের অধিবেশনে গান্ধী পরিবারকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের পরিবারের কেউ কেন এখনও নেহরু পদবি ব্যবহার করেন না? এদিন দাদার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গও তোলেন প্রিয়াঙ্কা। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংসদের ভরা অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এই পরিবার নেহরু পদবি ব্যবহার করে না। একজন কাশ্মীরি পণ্ডিতের গোটা পরিবারকে উনি অপমান করেন। বাবা মারা যাওয়ার পরে তাঁর ছেলেরই তো দায়িত্ব, তাঁর পরিবারের পদবি বয়ে নিয়ে চলা।”