টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: দেওয়া হয় নিম্নমানের খাবার, চলে দুর্ব্যবহার, অত্যাচার। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের কবরডাঙায়। নেশামুক্তি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রীতিমতো মারামারিতে জড়ালেন আবাসিকরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে বিষ্ণুপুরের কবরডাঙা এলাকায় নতুন একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যার মালিক রিজু নাগ। প্রায় ১৫ জন আবাসিক রয়েছেন সেখানে। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের স্বাভাবিকজীবনে ফেরাতে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানে লাগাতার অত্যাচারের শিকার আবাসিকরা। এমনকী দেওয়া হয় অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই এদিন ধুন্ধুমার নেশামুক্তি কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন: ভাটপাড়ায় ইটভাঁটার পাশে শুটআউট, ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ঘনীভূত রহস্য]
রবিবার দুপুরে আবাসিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নেশামুক্তি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। মুহূর্তে তা তীব্র আকার নেয়। এরপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। তাঁদের উদ্যোগেই বাড়ি পাঠানো হয়েছে আবাসিকদের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আবাসিকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এই গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, নেশামুক্তি কেন্দ্রের আদৌ লাইসেন্স রয়েছে কি না। মালিক রিজু গিরি বলেন, পুরসভা লাইসেন্স পাওয়ার পরই নেশামুক্তি কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে। যদিও কাউন্সিলর বলেন, লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল কি না, তা দেখা প্রয়োজন।