সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর সুপার মার্কেট অবধি যাওয়ার দরকার নেই। ফর্দ তৈরি করে রাখুন। কারণ, পাড়ার মুদি দোকানে হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার দিলে বাড়িতে ডেলিভারি দিয়ে যাবেন তারা। লকডাউনের আবহেই এই পরিষেবা চালু করে দিল রিলায়েন্সের জিওমার্ট।
লকডাউনে বাজারের ছুতোয় বার বার রাস্তায় বেরোতে মানা। তাই সেই নিয়ম মানতে দেশবাসীকে টেকস্যাভি করে তোলার চেষ্টায় রয়েছে রিলায়েন্সের জিওমার্ট। ছোট খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে কেন্দ্রের শিল্পোন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর (DPIIT) এবং ছোট ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)। সেখানেই মিলবে সব সুবিধা। মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও আগেই দেশের ছোট মুদিখানার দোকানগুলিকে একছাতার তলায় আনার পরিকল্পনা শুরু করে। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই জিওমার্টের ভাবনা।
[আরও পড়ুন:সচেতনতার নজির গড়ে করোনা মুক্ত ওড়িশার এক গ্রাম, খোলা দোকান-পাট]
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার পর থেকে খাদ্য, ওষুধ প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় জরুরি পণ্যের বাইরে আরও অনেক আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের চাহিদাও মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সেসব পণ্যের বিপণি যেহেতু লকডাউনের কারণে বন্ধ, তাই মানুষকে জোগান দিতে আমাজন, ফ্লিপকার্টের মতো দেশব্যাপী সক্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে। তারা জানায়, যাতে পুরোদমে তাদের বিপণনের অনুমতি দেওয়া হয়। অনলাইনে কেনা জিনিস বাড়িতে ডেলিভারির সময় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় থকবে। এই কথা যেমন তারা তুলে ধরে একইসঙ্গে এ কথাও সুনিশ্চিত করে যে, জিনিসপত্র ডেলিভারির এই সমস্ত কার্যক্রমের মধ্যে উচ্চমানের স্যানিটাইজেশনের খেয়াল রাখা হয়। ফলে সংক্রমণের কোনও উদ্বেগ থাকবে না।
[আরও পড়ুন:শরীরে ম্যাজমেজে ভাব-প্রচণ্ড ক্লান্তি! করোনার নয়া উপসর্গ নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা]
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জিও প্ল্যাটফর্ম এবং ফেসবুক ও তার অধীনস্থ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ-এই বাঁধনেই এক উন্নত ডিজিটাল ভারত গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবা মিলছে মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বই, থানে এবং কল্যাণে। কিছু দিনের মধ্যেই গোটা দেশে শুরু হবে এই পরিষেবা। ৮৮৫০০ ও ০৮০০০ এই নম্বরটিই মোবাইল ফোনে সেভ করতে বলছে জিও। এই নম্বর থেকে গ্রাহকদের কাছে আসবে একটি লিঙ্ক। সেই লিঙ্কের ভ্যালিডিটি ৩০ মিনিট। এই সময়ের মধ্যেই লিঙ্কটি ব্যবহার করতে হবে। লিঙ্কে ক্লিক করলে একটা নতুন ওয়েবপেজ খুলবে। সেখানে গ্রাহককে নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী সিলেক্ট করে অর্ডার দিতে হবে। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ৪০ কোটি মানুষকেই লক্ষ্য করে এই ব্য়বসা খুলতে চায় রিলায়েন্স। তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে ওই বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। একবার অর্ডার দেওয়া হয়ে গেলে এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দোকানে চলে যাবে নির্দেশ। সেটা জিওমার্ট স্টোর হতে পারে আবার স্থানীয় দোকানও হতে পারে। কোনখানে অর্ডার গেল জানিয়ে দেওয়া হবে গ্রাহককে। সামগ্রী ডেলিভারির জন্য তৈরি হয়ে গেলে গ্রাহকের কাছে ফের আসবে মেসেজ। এবার গিয়ে সংগ্রহ করে নিতে হবে নির্দিষ্ট দোকান বা স্টোর থেকে।
The post হোয়াটসঅ্যাপেই চালু বাজার! ক্রেতা টানতে নয়া পন্থা রিলায়েন্স জিওমার্টের appeared first on Sangbad Pratidin.