সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন 'বেলাশেষে'র দৃশ্য। বছরের পর বছর সংসারের পরেও বিচ্ছেদের ভাবনা। এই দৃশ্য চোখে জল এনেছিল বহু দর্শকের। এ তো নয় গেল রিল লাইফের কথা। কিন্তু বাস্তবেও বাড়ছে দীর্ঘদিনের সংসারে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। এই যেমন গোবিন্দা-সুনীতার কথাই ধরা যাক। দীর্ঘ ৩৭ বছর সংসারের পরেও জীবনের পথ আলাদা হতে চলেছে দুজনের। সমীক্ষা বলছে, সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে 'গ্রে ডিভোর্স'। ঠিক কী কারণে বহু বছরের বিবাহিত জীবন থেকে ছুটি চাইছেন দম্পতিরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সমাজ এগিয়ে গিয়েছে অনেক। আমরা ভাবনাচিন্তাতেও এগিয়ে গিয়েছি। তাই কে কী বলল, কে কী ভাবল - এসব আর খুব একটা ভাবনাচিন্তার বিষয় নয় আমাদের। স্বাভাবিকভাবে সামাজিকতার কথা ভেবে ভালো না লাগলেও বৈবাহিক সম্পর্ককে বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়বদ্ধতা কমেছে। তার ফলে বেশি বয়সেও অনেকেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
সন্তানকে বড় করতে গিয়ে দাম্পত্য জীবনের একটা বড় অংশ কেটে যায়। বড় হওয়ার পর সন্তানেরা হয় পড়াশোনা কিংবা কর্মসূত্রে বাড়ি ছেড়ে দূরে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। সেই সময় বাবা-মা একেবারে একা। কিন্তু ততদিনে দুজনের সম্পর্কে শীতলতা চলে এসেছে। অনেক দম্পতি ভাবেন আর দুজনে মিলে একসঙ্গে পথচলা সম্ভব নয়। তাই অনেকেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
অতীতে কর্মরত মহিলার সংখ্যা ছিল তুলনায় অনেক কম। সেক্ষেত্রে বিয়ের পর যেকোনও চাহিদা মেটানোর জন্য স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হত। আর্থিক স্বাধীনতা না থাকায় বিচ্ছেদের কথা ভাবতে পারতেন না অনেকেই। বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে কর্মরত মহিলার সংখ্যা বাড়ছে। তাই স্বামীর উপর আর্থিক নির্ভরশীলতা কমছে। বাড়ছে বিচ্ছেদ।
বিবাহিত সম্পর্কের উষ্ণতাকে জিইয়ে রাখার জন্য যৌনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সেকথা মাথায় রাখেন না। তার ফলে সম্পর্ক শীতল হতে থাকে। আর দীর্ঘদিনের শীতলতা ডেকে আনে বিচ্ছেদ।
তাই সম্পর্কের উষ্ণতাকে হারাতে দেবেন না। মনের মানুষকে জড়িয়ে জাপটে বাঁচুন। মনে রাখবেন, সম্পর্ক ভাঙতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু গড়তে সময় লেগে যায় অনেকটা।