নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দুবরাজপুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত শেখ সফিক। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত আরেকজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। এদিকে দুবরাজপুরের বিস্ফোরণের রেশ কাটার আগেই কাঁকড়তলা গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল।
জানা গিয়েছে, ২২ মে দুপুরে পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামের শেখ সফিকের বাড়িতে বিস্ফোরণের ফলে সিঁড়ি ঘরের একাংশ উড়ে যায়। এই তীব্র বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও বা পুলিশ আসার আগেই সেখ সফিক এলাকা থেকে চম্পট দেন। এই ঘটনায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ শেখ সফিকের ভাই খয়রুদ্দিন মণ্ডল এবং সফিকের ছেলে শেখ শাহরুখ আলমকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরূদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই বিস্ফোরণে ঘটনায় গ্ৰেপ্তার হওয়া খয়রুদ্দিন মণ্ডল ওরফে মরিলালের ছেলে সেখ ইমামউদ্দিন মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্ৰেপ্তার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: Nitesh Pandey Death: শুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডে]
এদিকে বোলপুরের দুবরাজপুরের পর এবার কাঁকড়তলা থানার সাহাপুর গ্রামের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১০-১২টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার ভোররাত্রে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে একটি থলি ভরতি বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল চারিদিক ঘিরে রেখেছে কাঁকরতলা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে আসছে সিআইডির বোম ডিসপোজাল টিম। কী কারণে বোমা মজুত করা হয়েছিল, এই বোমা মজুতের সাথে কারা যুক্ত রয়েছে ইতিমধ্যেই তা তদন্ত শুরু করেছে কাঁকরতলা থানার পুলিশ।