সোমনাথ রায়: সাময়িক স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এখনই চলতি সপ্তাহেও তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারছেন না ইডির আধিকারিকরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে বুধবার দিল্লি হাই কোর্টে শুনানি ছিল। কিন্তু এদিনও আদালতে পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। ১২ ডিসেম্বর ফের এই মামলা শুনবেন বিচারপতি।
গরু পাচার মামলায় ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এবার জেরার স্বার্থে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় তদন্তকারীরা। এর বিরুদ্ধেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। এদিন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, এই মামলায় অভিযুক্ত সায়গল হোসেন ও বিকাশ মিশ্রর আবেদনের শুনানি হচ্ছে অন্য এক বিচারপতির এজলাসে। তাই অনুব্রতর আরজিও ওই বিচারপতিরই এজলাসে শুনানি হোক। সিব্বলের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল ইডির আইনজীবী। তারপরেও সিব্বলের আরজি মেনে নেন বিচারপতি। সোমবার নতুন বিচারপতির এজলাসে অনুব্রতর আরজির শুনানি হবে। ততদিন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে দেড় দশকের বিজেপি যুগের অবসান, পুরনিগমে ক্ষমতা দখল করল AAP]
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় তারা। এই আরজি নিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। পালটা এই আরজি খারিজের দাবি নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। সেখানে তাঁর হয়ে সওয়াল করছেন কপিল সিব্বল।
আগের শুনানিতে অনুব্রতর তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানিতে ব্যস্ত রয়েছেন পোড় খাওয়া আইনজীবী সিব্বল। তাই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানানো হয়। আদালতের তরফে ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এতে তাদের কোনও আপত্তি আছে কিনা। ইডি জানায়, তাদের আপত্তি নেই। এরপরই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও পিছিয়ে গেল শুনানি।