সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূণ্যার্থীদের জন্য কবে খুলবে কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath Dham) দরজা, তা জানিয়ে দেওয়া হল বদ্রীনাথ কেদারনাথ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। প্রতিবার মহাশিবরাত্রির (Mahashivratri) দিনই সাধারণত এই ঘোষণা করা হয়। এবারও তার অন্যথা হল না।
প্রতি বছর শীত পড়ার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। এবারও তেমনটাই হয়েছে। সেই দরজা কবে খোলা হবে তা ওমকারেশ্বর মন্দিরের বিশেষ অনুষ্ঠানের পর জানানো হয়। ভোরবেলা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমে দেবতার মহাভিষেক সম্পন্ন হয়। তারপর পুরোহিতরা ভোগ নিবেদন করেন। এরপর দিনক্ষণ বিচার করে জানানো হয় আগামী ২৫ এপ্রিল কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলা হবে। তারপর ২৭ এপ্রিল খোলা হবে বদ্রীনাথের দরজা।
[আরও পড়ুন: কীভাবে হয়েছিল শিবের জন্ম? জানুন পুরাণে বর্ণিত দেবাদিদেবের লীলারহস্য]
কথিত আছে, শিবের বয়স যত, কেদারখণ্ড ততটাই প্রাচীন৷ কুরুক্ষেত্রের যুরে পর ভীষণরকম অনুতাপে ভুগতে থাকেন পঞ্চপাণ্ডব৷ এই ধর্মযুগে আত্মীয়-পরিজনের নিধন করেছিলেন তাঁরা৷ সেই পাপক্ষালনের উদ্দেশ্যে পঞ্চপাণ্ডব মহর্ষি বেদব্যাসের পরামর্শে হিমালয়ে গেলেন মহাদেব দর্শনে, কেদারখণ্ডে৷ কিন্তু দেবাদিদেব পাণ্ডবদের দর্শন দিতে চান না, তাই তিনি পালিয়ে যান৷ পাণ্ডবরাও শিবের পিছু নেন৷ শেষে পথ না পেয়ে শিব মহিষের রূপধারণ করেন৷
এরপর মহিষরূপী শিবকে জাপটে ধরেন ভীম৷ যখন তিনি জাপটে ধরেন মহিষের মুখ ছিল পৃথিবীর দিকে এবং পশ্চাদভাগ ছিল কেদারের দিকে৷ মহিষরূপী শিবের অঙ্গ টুকরো হয়ে পাঁচটি স্থানে ছিটকে পড়ে৷ কেদারে পশ্চাদ্ভাগ, মদমহেশ্বরে নাভি, তুঙ্গনাথে বাহু, রুদ্রনাথে মুখ, কল্পনাথ বা কল্পেশ্বরে জটা৷ হিমালয়ের এই পাঁচ পুণ্যভূমি ‘পঞ্চকেদার’ নামে পরিচিত৷ কেদারে এসে পঞ্চকেদার দর্শন না করলে নাকি কেদার-দর্শনের পুণ্য সম্পূর্ণ হয় না৷ শোনা যায়, একদা ভগবান নরনারায়ণ মাটি দিয়ে মূর্তি গড়ে পুজো করেন শিবের৷ ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন শিব এবং কেদারে বাস করতে শুরু করেন৷ সেই থেকে কেদারে বাস দেবাদিদেবের৷