সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিলের শুরুতেই বাসন্তী পুজো। এটাই দেবী দুর্গার মূল পুজো। রামচন্দ্রের অকালবোধনের ফলে শরৎকালে সেই পুজো চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেটাই হয়ে উঠেছে দুর্গাপুজোর চেনা সময়কাল।কিন্তু পুরাণ অনুসারে, রাজা সুরথের হাতে মহামায়া বা দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়েছিল বসন্তকালে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষেই। সেনযুগের সময়কালে এই পুজোই মহাসমারোহে পালিত হত বলেই জানা যায়।

মূল রামায়ণে শারদীয়া পুজোর উল্লেখ না থাকলেও কৃর্ত্তিবাসের রামায়ণে সীতাকে উদ্ধারের আগে রাম, মা দুর্গার পুজো করেন। দিনকালে বাসন্তী পুজোকে সরিয়ে অকালবোধনই বাঙালির প্রধান উৎসব হয়ে দাঁড়ায়। এর পিছনে অবশ্য বাংলার জমিদার ও মুঘল আমল এবং সর্বপরি ইংরেজদের অবদান রয়েছে।
অকালবোধন প্রধান উৎসব হয়ে দাঁড়ালেও আজও বাসন্তী পুজো বাঙালির মনে প্রাণে। খুব কম জায়গায় এই পুজো হলেও তা হয় সমস্ত ঐতিহ্য ও নিয়ম মেনেই। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী চারদিন পুজো হয়। শারদীয়া দুর্গা পুজোর নিয়ম ও বাসন্তী পুজোর নিয়ম প্রায় একই।
চলতি বছরে কবে এই পুজো?
৩ এপ্রিল থেকে পুজোর তিথি শুরু। সেদিন ষষ্ঠী। বাসন্তী পুজোর অষ্টমী ও সন্ধি পুজো পড়েছে ৫ এপ্রিল। ৬ তারিখ নবমী। দশমী ৭ এপ্রিল। ৬ তারিখ দুর্গানবমীর দিন রামের জন্মতিথিকে মিলিয়ে পালন করা হবে রামনবমী।
দেবীর আগমন ও গমন
এবারে দেবীর আগমন ও গমন গজে। যা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করে হচ্ছে। মনে করা হয় গজে আগমন হলে পৃথিবী-দেশে অর্থ বৃদ্ধি পায়। শস্য-ফসলে ভরে ওঠে পৃথিবী।