সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাসুন্দরী চতুর্ভুজা। সিংহ অধিষ্ঠাত্রী, পদতলে হাতির কাটা মুন্ডু। কয়েক কথায় এই হল দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপের প্রকাশ। তিনি আদ্যাশক্তি মহামায়ার আর এক রূপ। এই জগতের ধারক তিনি। তবে দেবীর পায়ের নিচে কাটা হাতির মুণ্ড কেন?
পুরাণ অনুযায়ী, দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের পর অহংকারে ভুগতে থাকেন দেবতারা। তাঁরা মনে করতে থাকেন, দেবী অসুর বধ করেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি দেবতাদেরই সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ। যেহেতু ব্রহ্মার আশীর্বাদের জন্য কোনও পুরুষ মহিষাসুরকে বধ করতে পারবেন না, তাই নারীর প্রয়োজন হয়েছে মাত্র। তাঁদের ধারণা পক্ষান্তরে শক্তিশালী অসুর বধের পিছনে রয়েছেন দেবতারাই। এই গর্ব বোধ দেখে তাঁদের শক্তির পরীক্ষা নেন দেবী। তৃণখণ্ড তাঁদের দিকে ছুড়ে দেন। দেবরাজ ইন্দ্র তৃণটি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হন। অগ্নিদেবও তা পোড়াতে পারেননি। বায়ুদেব পারেননি উড়িয়ে নিয়ে যেতে। জলের স্রোতে ভাসাতে পারেননি বরুণ দেবও। এর পরই দেবী জগদ্ধাত্রী আর্বিভূত হন। বুঝিয়ে দেন তিনিই জগতের ধারিণী শক্তি।
কিন্তু হাতিটি এল কেন? হাতিটিকে দেবতাদের অহংয়ের প্রতীক হিসাবে মানা হয়। দেবী যেহেতু দেবতাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা কিছুই নন। তাই তাঁদের অংহকারকে বধ করেছিলেন তিনি। তাই পদতলে থাকে হাতি। সংস্কৃত শব্দে হাতির অর্থ করী। তাকে দেবী বধ করেন বলে জগদ্ধাত্রীর অপর নাম করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী।