সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশার আলো জাগাচ্ছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়েন্ট গিলেড সায়েন্সের ড্রাগ রেমডিসিভি। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, গিলেডের (Gilead) এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বাঁদরের শরীরে ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করেছে। মঙ্গলবার নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে এই খবর। ফলে সাড়া পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। কোনও ড্রাগ বাঁদরের দেহে ফলপ্রসূ হলে মানুষের দেহেও সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ায়। করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভ তাই হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এপ্রিল মাসে মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস (এনআইএইচ) এই গবেষণার খবর প্রথম প্রকাশ করে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডিসিভি আশ্চর্যজনক ভাবে সাড়া ফেলেছে। COVID-19 রোগীদের সুস্থ হতে এই ড্রাগ উপকারী বলে জানান চিকিৎসকরাও। গত মাসে জাপানে ভেকলুরি ব্র্যান্ড রেমডিসিভির অনুমোদন পায়। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জরুরি পরিস্থিতিতে এই ড্রাগ ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। কিছু ইউরোপের দেশও এ ব্যাপারে একমত। মোট কথা গোটা বিশ্ব এখন করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির উপর ভরসা করে রয়েছে। কিন্তু কোনও মেডিক্যাল জার্নাল এতদিন এ বিষয়ে কোনও সিলমোহর দেয়নি। কারণ এই ড্রাগ করোনার ওষুধ কিনা, তা এখনও বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত নয়।
[ আরও পড়ুন: করোনাকে দূরে রাখতে পারে ‘জুম্বা ডান্স’! পথ বাতলালেন বিশেষজ্ঞরা ]
তবে মঙ্গলবার নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণায় তার একটি সূত্র পাওয়া গেল। এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় ১২টি বাঁদরের উপর এই ড্রাগ প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এই বাঁদরগুলির শরীরে প্রথমে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সংক্রমণ শুরুর দিকে এর মধ্যে অর্ধেক বাঁদরকে রেমডিসিভি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। যাদের রেমডিসিভি দেওয়া হয়, তাদের শ্বাসযন্ত্রে রোগের কোনও লক্ষণগুলি দেখায়নি। উপরন্তু ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পেয়েছে। গবেষণার লেখকরা আরও জানিয়েছেন, রেমডিসিভি দিয়ে যাদের চিকিৎসা করা হয়েছে, তাদের ফুসফুসে ভাইরাসের পরিমাণ কম ছিল। তাঁদের মতে, করোনা আক্রান্তদের ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে যত দ্রুত সম্ভব এই ড্রাগ প্রয়োগ করতে হবে।
[ আরও পড়ুন: ৯২ শতাংশ রোগীর করোনামুক্তি স্বদেশি ভেষজেই, গোপন কথা ফাঁস করল চিন ]
The post করোনার অব্যর্থ ওষুধ রেমডিসিভির! বাঁদরের উপর পরীক্ষায় মিলল সুফল appeared first on Sangbad Pratidin.