সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলায় নাম ছিল টুবলু, কিন্তু কিছুদিন পরেই সেই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পঞ্চম। তারপর সারা পৃথিবীতে সেই নামেই বিখ্যাত হয়ে ওঠেন রাহুল দেববর্মন। ২৭ জুন, ১৯৩৯। মীরা ও শচীন দেববর্মনের ঘরে জন্ম নেন ভারতীয় সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শোনা যায় ছোটবেলায় নাকি পঞ্চম সুরে কাঁদতেন তিনি, তাই তাঁর নাম টুবলু থেকে বদল করে রাখা হয় পঞ্চম। অবশ্য নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে অন্য গল্পও শোনা যায়, বাবা শচীন দেববর্মন যখনই সা গাইতেন তখনই নাকি পঞ্চম গেয়ে উঠতেন পা। ব্যক্তিগত জীবনের ওঠা পড়া থেকে শুরু করে তাঁর সংগীত জীবন তাঁকে ঘিরে গল্পের শেষ নেই। চারদশক ধরে ৩৩১টি ছবিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। সেখান থেকেই বিশেষ পাঁচটি ছবি নিয়ে শহরে শুরু হল প্রথম আরডি বর্মন ফিল্ম ফেস্টিভাল।
[প্রথম ভারতীয় ছবি হিসেবে ২০০০ কোটির ক্লাবে ‘দঙ্গল’]
আরডি বর্মনের ৭৮তম জন্মদিন এবার একটু অন্যভাবেই সেলিব্রেট করছে অমিত কুমার ফ্যান ক্লাব। তারাই আয়োজন করেছে এই চলচ্চিত্র উৎসবের। সোমবার থেকে নন্দন থ্রিতে শুরু হয়েছে আরডি বর্মন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ২৬ থেকে ২৮ তিনদিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে মোট পাঁচটি ছবি। সোমবার এই উৎসবের উদ্বোধন করেন পরিচালক সন্দীপ রায়। উদ্বোধনী ছবি হিসাবে প্রদর্শিত হয় বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘মঞ্জিল’। উৎসবের দ্বিতীয়দিন অর্থাৎ আরডির জন্মদিনে দেখানো হবে দুটি ছবি, পরিচালক প্রভাত রায়ের ‘শ্বেত পাথরের থালা’ ও হিন্দি ছবি ‘বেমিসাল’। শেষদিন প্রদর্শিত হতে চলেছে শক্তি সামন্তের ছবি ‘চরিত্রহীন’ ও হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘বুঢ্ঢা মিল গয়া।
[ইদের আবহেও সেন্সর বোর্ডের কড়া সমালোচনায় শাহরুখ]
এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথমদিনই প্রকাশ করা হয় একটি স্পেশাল ডাকটিকিট। এই চলচ্চিত্র উৎসবকে কেন্দ্র করেই এই ডাকটিকিট। উদ্বোধনের দিন এই ডাকটিকিট প্রকাশ করতে উপস্থিত ছিলেন মল্লার ঘোষ, সৈকত মিত্র, দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস বসু প্রমুখ। আরডির সুরের জাদু যাতে সবাই উপভোগ করতে পারেন তাই এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রবেশ অবাধ রেখেছেন উদ্যোক্তারা। অতএব শহরের এই চলচ্চিত্র উৎসবে সহজেই শামিল হতে পারেন আপনিও।
The post ৭৮তম জন্মদিনে শহরে আরডি বর্মন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল appeared first on Sangbad Pratidin.