সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই ভারতে আয়োজিত হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T-20 World Cup)। যদিও করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আবার ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করতেও শুরু করে দিয়েছে আইসিসি (ICC)। জানা গিয়েছে, ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে ক্রিকেটের প্রসারের জন্য আগামিদিনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ২০২৪ থেকেই ২০টি দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে।
একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে একাধিক পরিকল্পনা করেছে আইসিসি। তারই একটি আরও বেশি দেশে ক্রিকেটের প্রসার ঘটানো। আর তাই ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বাড়তে পারে দলসংখ্যা। সবমিলিয়ে মোট ২০টি দেশকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। আসলে টেস্ট বা ওয়ানডে-র তুলনায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষ হতে সময় কম লাগে। পাশাপাশি অন্যান্য ফরম্যাটের তুলনায় এর জনপ্রিয়তাও বেশি। তাই এর সাহায্যেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে চাইছে আইসিসি। এই প্রসঙ্গে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বিশ্বে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটই উপযুক্ত। এর আগেও বিশ্বকাপে দলসংখ্যা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে মহিলাদের টুর্নামেন্টে দলসংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে সবুজ সংকেতও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।”
[আরও পড়ুন: প্রত্যেকবার হারেন বিরাট! এবার অধিনায়ককে ‘খেলা’ শেখাতে চান শুভমন]
এদিকে, ২০২৮ সালে অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে ইতিমধ্যে সওয়াল করেছে বিসিসিআই। পাশাপাশি ছাড়পত্র পেলে ভারতের পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেট দল যে তাতে অংশ নেবে, সেকথাও আগেই জানিয়ে দিয়েছে বোর্ড। তবে বর্তমানে সৌরভদের প্রধান চিন্তা সুষ্ঠুভাবে চলতি বছরের শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা। যদিও ইতিমধ্যে বিকল্প ভেন্যুও ভেবে রেখেছে আইসিসি। ভারত একান্তই বিশ্বকাপ আয়োজন না করতে পারলে দুবাইয়ে হতে পারে তা।