সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিআরপি কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের বিস্ফোরক দাবি করে বসল মুম্বই পুলিশ। তাঁদের দাবি, রিপাবলিক টিভির রেটিং অনৈতিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য BARC-এর প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছেন অর্ণব গোস্বামী (Arnab Goswami )। তাও আবার একবার নয়, বহুবার। গতকাল আদালতে এই মামলায় একটি রিমান্ড নোট দাখিল করেছে মুম্বই পুলিশ। যাতে দাবি করা হয়েছে, নিজের পদমর্যাদার অপব্যবহার করে BARC-এর প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্ত একাধিক চ্যানেলের টিআরপিতে হেরফের করেছেন। আর খোদ অর্ণব গোস্বামী রিপাবলিকের হিন্দি এবং ইংরেজি চ্যানেলের রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত ২৫ ডিসেম্বর টিআরপি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের (Broadcast Audience Research Council) প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ। এই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের দাবি, পার্থকে জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই পার্থ দাশগুপ্তই নাকি পুরো টিআরপি কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড। এবং তিনিই অর্থের বিনিময়ে টিআরপি হেরফের করার কাজটি করতেন। পুলিশের দাবি, অর্ণব গোস্বামী পার্থর পাশাপাশি BARC-এর প্রাক্তন COO রমিল রামঘরিয়াকেও মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতেন। ঘুষের টাকায় পার্থ নাকি মূল্যবান সামগ্রী কিনতেন, যা কিনা পুলিশ তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্তও করেছে। মামলার আরও তদন্তের জন্য পার্থ দাশগুপ্তকে আরও কিছুদিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে মুম্বই পুলিশ। বস্তুত, পুলিশের দাবি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে অর্ণব গোস্বামী বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছেন, তাতে সংশয় নেই।
[আরও পড়ুন: জিও’র প্রতি ক্ষোভ! পাঞ্জাবে দেড় হাজার মোবাইল টাওয়ারে ভাঙচুর বিক্ষোভরত কৃষকদের]
সেই অক্টোবর থেকেই এই মামলার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। এর আগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের দাবি, রিপাবলিক-সহ দুটি স্থানীয় চ্যানেলের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ তাদের কাছে আছে। এই টিআরপি কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ করেছে রেটিং সংস্থা BARC-ও। পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। রিপাবলিক টিভি অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। এর আগে মুম্বই পুলিশের হাত থেকে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।