সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: প্রতিশ্রুতিমতো স্বাস্থ্য বিভাগে একগুচ্ছ রদবদল আনল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। সোমবার রাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, তাঁদের দাবিমতো স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিকেলে নবান্ন থেকে বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রভাবিত করার অভিযোগে সরব ছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা, তাঁদের সরিয়ে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগে একাধিক রদবদল। বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আর জি কর কাণ্ডের তদন্তকে তাঁরা প্রভাবিত করছেন, প্রকৃত তথ্য আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাই তাঁরা পদে থাকলে স্বচ্ছ তদন্ত সম্ভব নয় বলে মনে করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের পর তাঁদের অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার নবান্ন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকে সরিয়ে নতুন দায়িত্বে আনা হল স্বপন সোরেনকে। তিনি যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছিলেন। আপাতত অস্থায়ীভাবে তাঁকে স্বাস্থ্যভবনে অধিকর্তার পদে আনা হল।
এছাড়া স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নতুন পদ ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর। আপাতত তিনি এই পদেই থাকবেন। অন্যদিকে, ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর পদে থাকা সুপর্ণা দত্তকে অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা করা হল। আসলে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা পদে নিয়োগের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেহেতু হাসপাতালের পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজগুলির দায়িত্বও থাকে তাঁর, সেই কারণে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞ এবং অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। সেই কারণে আপাতত এই পদে স্থায়ী কাউকে রাখা হল না এখন। কিন্তু প্রশ্ন হল, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলাফলে হিসেবে এই যে রদবদল হল, তার পর কি তাঁরা কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরবেন?