সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত হলেই শোনা যায় শিশুর আর্তনাদ। কখনও ভেসে আসে কান্নার শব্দ। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) চালডিহির অধিকাংশ পরিবার। বর্তমানে যে পরিবারগুলি রয়েছে তাঁদের প্রতিমূহুর্ত কাটে আতঙ্ক, উৎকন্ঠায়।
বাঁকুড়া শহরের গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকার বড়জুড়ি গ্রাম। একটা সময়ে সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকেই পাশের একটা ফাঁকা জায়গায় বসবাস শুরু করে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পরিবার। রীতিমতো একটা গ্রাম তৈরি হয়। সেই গ্রামের নাম চালডিহি। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়েও সন্ধে নামলেই ভূতের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যায় স্থানীয়রা। যদিও এর পিছনে রয়েছে এক কাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে খুন হয়েছিলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা এক যুবক। এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল রক্তাক্ত দেহ। সেই থেকেই নাকি ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছে গ্রামের পরিবেশ। সূর্য ডুবতেই এক অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয় গ্রাম জুড়়ে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, আঁধার নামতেই নাকি গ্রামে ঘুরে বেড়ায় অশরীরি। ভেসে আসে শিশুদের আর্তনাদ-কান্নার শব্দ। কখনও যেন মনে হয় নূপুর পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেউ। সব মিলিয়ে এক ভৌতিক পরিবেশ।
[আরও পড়ুন: কাগজের তৈরি কালী প্রতিমার উচ্চতা মাত্র ১ ফুট! অভিনব শিল্পকর্মে তাক লাগাল খুদে অরণ্য]
যার জেরে অনেক বাসিন্দাই গ্রাম ছেড়েছেন। যাঁরা রয়েছেন তাঁদের একাংশ জানিয়েছে, তাঁরা নাকি ভূত দেখেছেন। যদিও একাংশ দাবি করেছেন যে পুরোটাই স্রেফ গুজব। এক শ্রেণির মানুষ নাকি স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এক মহিলা বলেন, “ভূত কোনওদিন ছিল না। গ্রামের মানুষরাই আতঙ্ক তৈরি করেছেন। তবে কেউ কোনওদিন ভূত দেখেনি।” একই দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরাও।