গৌতম ব্রহ্ম: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য অধিনিয়ম। কেন্দ্রের চালু করা এই তিন আইন নিয়ে বিধানসভায় সরকারের পক্ষের আনা নিন্দা প্রস্তাবের উপর আলোচনা হল। বুধবার রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) প্রস্তাবটি পাঠ করেন বিধানসভায়। প্রস্তাবকে সমর্থন করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আইনটি বিলের আকারে ছিল। ২৫ ডিসেম্বর আইনে পরিণত হয়। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আইনগুলি বলবৎ হয়েছে। নতুন সরকারের কাছে আইনগুলি নিয়ে ফের পর্যালোচনা চাওয়া হচ্ছে। তাই এই প্রস্তাব।
চন্দ্রিমার দাবি, আগের আইনগুলিতে ‘ইন্ডিয়ান’ কথাটি ছিল। বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট যাতে সুবিধা না পায় তাই ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) শব্দটিকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা। মন্ত্রীর অভিযোগ, ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর ২০ ডিসেম্বর বিলগুলি একসঙ্গে পেশ করা হল। মন্ত্রীর দাবি, বিরোধীদের কথা বলার জায়গাই তো ছিল না তখন সংসদে। চন্দ্রিমার প্রশ্ন, কেন রাজ্যের তালিকাভুক্ত বিষয়ে হাত দিচ্ছে কেন্দ্র? পুলিশকে নিজেদের কব্জায় নিতে? শাসকদলের আরও কয়েকজন বিধায়ক নয়া তিন আইনের একাধিক ধারা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন। বৃহস্পতিবার ফের আলোচনা চলবে এই নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে একবারও ভুমিধসের কথা বলেননি কেন?’, ওয়ানড় কাণ্ডে রাহুলকে নিশানা বিজেপির]
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রিভিউ কমিটি গড়েছে রাজ্য। কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, আইনজীবী সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল। এই তিনটি বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের অতি সক্রিয়তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: তিনদিনের সফরে ভারতে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী, মোদির সঙ্গে করবেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নথিভুক্ত প্রতিবাদ নথিবদ্ধ করে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, আইন চালু হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই রিভিউ করে কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে। শীঘ্রই এই কমিটি বৈঠকে বসে রিভিউ রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দেবে। তার পর আইন সংশোধন ও আপত্তি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।