দিপালী সেন: প্রাথমিকের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টে (টেট) উত্তীর্ণ হলেন প্রায় ১০ হাজার প্রার্থী। ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে অফলাইনে হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। তার প্রায় ১১ মাস ১০ দিনের মাথায় সোমবার প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষা টেট-এর ফল প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৭-র প্রাথমিক টেটের জন্য আবেদন করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। পরীক্ষা বাতিল হয় ১২ জনের। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বৈধ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। তাঁদের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৯ হাজার ৮৯৬ জন পরীক্ষার্থী।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মোদির নিরাপত্তা ইস্যু: ‘মামলা থেকে সরে যান’, খলিস্তানি হুমকির মুখে বিচারপতি-আইনজীবীরা]
আইনি জটিলতার কারণে তৈরি দীর্ঘসূত্রতা এড়াতেই সময় নিয়ে ফলপ্রকাশ করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কোর্টে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে, পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর প্রার্থীরা কোর্টে গিয়ে বলছে এই প্রশ্নের এই উত্তরটা ঠিক ছিল, এটা ভুল ছিল। লম্বা একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে তার একটা সমাধান বের হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আইনি জটিলতামুক্ত, ত্রুটিমুক্ত ,সর্বজনগৃহীত একটি স্বচ্ছ রেজাল্ট বার করার। তারজন্য আমরা একটু সময় নিয়ে প্রথমে একটি খসড়া বের করেছি, মতামত গ্রহণ করেছি, বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছি। তারপরে আমরা ফলাফলটাকে চূড়ান্ত করে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়েছি।’’ ২০১৭-র টেট পরীক্ষার অ্যানসার কী নিয়ে প্রায় ৩ হাজার পরীক্ষার্থীর অভিযোগ গ্রহণ ও সেগুলির সমাধান করেছিল পর্ষদ।
অন্যদিকে, ২০২১-এর টেটের ফলপ্রকাশ হতেই পরবর্তী টেট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিয়োগের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরকারের। একইসঙ্গে সরকারের নিয়মিত নিয়োগের সদিচ্ছার কথাও উঠে আসে তাঁর কথায়। মানিকবাবু বলেন, “সবসময়ই সরকার এগুলো নির্ধারণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার, শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, বছর বছর টেট পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীও চান নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু থাকে।”
[আরও পড়ুন: অভিষেকের কথা মেনে রোগীর কাছেই পৌঁছবেন ডাক্তার, একনজরে ‘ডক্টর অন হুইলসে’র তালিকা]
তারপরই পর্ষদ সভাপতি টেট উত্তীর্ণদের স্মরণ করিয়ে দেন,”টেট পরীক্ষার সঙ্গে নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি একটি টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনি নিয়োগের আবেদন করার যোগ্য হবেন। সুতরাং, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তাতে আবেদন করতে পারবেন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী।” সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরকারের।
কোন-কোন ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন রেজাল্ট।
//wwww.wbbpe.org/
https://wbbprimaryeducation.org