সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য। মেয়েকে ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত যুবককে আদালত চত্বরে গুলি করে খুন (Murder) করলেন প্রাক্তন BSF জওয়ান। ঘটনায় এখনও চাঞ্চল্য রয়েছে এলাকায়। ২৫ বছরের ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের। মাস দুয়েক আগেই জামিন পেয়েছিল সে। শুক্রবার আদালতে এসেছিল সে। আর তখনই তাকে খুন করে ওই ব্যক্তি। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরের।
মৃত যুবকের নাম দিলশাদ হুসেন। বিহারের মুজফফরপুরে থাকত সে। পরে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে সাইকেলের দোকান খোলে সে। সেই দোকানের উলটো দিকে থাকতেন ভগবত নিষাদ নামের ওই অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যায় ওই ব্যক্তির নাবালিকা কন্যা। ভগবতের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে দিলশাদ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। এবছরের মার্চে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিলশাদকে। উদ্ধার করা হয় ভগবতের মেয়েকেও। দিলশাদ জামিন পেয়েছে মাস দুয়েক আগে।
[আরও পড়ুন: ‘একা মোদির পক্ষে দেশ বদলানো অসম্ভব, তাঁর মতো আরও আইকন চাই’, দাবি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার]
শুক্রবার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে আদালতে এসেছিল সে। তার আইনজীবীর জন্য অপেক্ষা করছিল আদালতের গেটে। এদিকে ভগবত ও তাঁর ছেলে নন্দলাল সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, এরপরই নিজের বন্দুক থেকে তাক করে গুলি চালান তিনি। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দিলশাদ। সরাসরি মাথায় গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পালিয়ে যায় ভগবত।
অবশ্য পরে পুলিশ ভগবত ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গিয়েছে, যে বন্দুক থেকে গুলি চালানো হয়েছে সেটির লাইসেন্স রয়েছে ভগবতের কাছে। দিলশাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। একদিন কেটে গেলেও এখনও এলাকায় থমথমে ভাব রয়েছে।