সুপর্ণা মজুমদার: বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নয়, বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাল্পনিক কাহিনি তৈরি করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। নাম দিয়েছেন ‘শেরদিল – দ্য পিলভিট সাগা’ (Sherdil – The Pilibhit Saga)। ছবিতে অভিনয় করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী (Pankaj Tripathi), নীরজ কবি, সায়নী গুপ্তর মতো তারকা। প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ এবং দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী। কিন্তু তাতেও অরণ্যের এই দিনরাত্রির গল্প সেভাবে মন কাড়তে পারল না।
ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত পিলভিট টাইগার রিজার্ভ। সেখানকার গরিব চাষীরা আয়ের জন্য এক সাংঘাতিক উপায় খুঁজে বের করেন। বয়স্কদের বনের ভিতরে পাঠানো হত। বাঘের কবলে পড়ে তাঁদের মৃত্যু হলে দেহ এনে আবার চাষের জমিতে রেখে দেওয়া হত। তারপর সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা হত টাকা। এই ঘটনার অনুপ্রেরণাতেই ‘শেরদিল – দ্য পিলভিট সাগা’র চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ নিগম এবং অতুল কুমার রাই।
[আরও পড়ুন: জীবনানন্দর ভূমিকায় ব্রাত্য বসু অতুলনীয়, নজর কেড়েছেন জয়া আহসান, পড়ুন ‘ঝরা পালক’ ছবির রিভিউ]
সিনেমার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে গঙ্গারামের (পঙ্কজ ত্রিপাঠী) চরিত্রকে কেন্দ্র করে। প্রধান হিসেবে গ্রামবাসীদের দারিদ্র ঘোচাতে চায় সে। সেই কারণে বাঘের হাতে বলি হতে বনে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় কাহিনি। গঙ্গরামের বাঘ খোঁজার কাহিনি। কখনও অতীত, কখনও বর্তমানের কাহিনি সিনেমায় দেখানো হয়েছে। পুরোটাই গঙ্গারাম-কেন্দ্রিক। পঙ্কজ ত্রিপাঠী নিজের সাধ্যমতো অভিনয় করেছেন। কিন্তু বাকিটা? তা বোধহয় আরও একটু মেদহীন হলে ভাল হত। চোরাশিকারি হিসেবে নীরজ কবি (Neeraj Kabi) কেবলমাত্র ‘জ্ঞানদা’ হয়েই রয়ে গিয়েছেন। জঙ্গলে মলত্যাগ করতে করতে উপদেশ দেওয়ার দৃশ্যের কী প্রয়োজন ছিল বোঝা গেল না। গঙ্গারামের স্ত্রী লাজোর চরিত্রে সায়নী গুপ্ত (Sayani Gupta) সাবলীল। সোহাগ সেন কয়েকটি দৃশ্যে ছিলেন মাত্র।
গঙ্গারামের যাত্রাপথ বোঝাতে যে গানগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তার খুব একটা প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না। এই ছবির জন্যই শেষবার রেকর্ডিং স্টুডিওয় গিয়ে গান রেকর্ড করেছিলেন সংগীতশিল্পী কেকে (Singer KK)। সিনেমার শেষে তা শুনতে অবশ্য ভাল লাগে।
ছবি – শেরদিল – দ্য পিলভিট সাগা
অভিনয়ে – পঙ্কজ ত্রিপাঠী, নীরজ কবি, সায়নী গুপ্ত
পরিচালক – সৃজিত মুখোপাধ্যায়