shono
Advertisement

দেউলিয়া বিখ্যাত প্রসাধনী সংস্থা রেভলন, জোগান জটকেই দায়ী করল কর্তৃপক্ষ

সূত্রের খবর, দেনার দায়ে জর্জরিত আমেরিকার এই বিখ্যাত কসমেটিক কোম্পানি।
Posted: 02:38 PM Jun 17, 2022Updated: 03:24 PM Jun 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেউলিয়া বিখ্যাত প্রসাধন সংস্থা রেভলন। প্রায় নব্বই বছরের পুরনো সংস্থাটির এহেন অবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে জোগান জটকেই দায়ী করল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, দেনার দায়ে জর্জরিত আমেরিকার এই বিখ্যাত কসমেটিক কোম্পানি।

Advertisement

প্রায় নব্বই বছর ধরে প্রসাধনীর বাজারে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করেছে রেভলন (Revlon)। বিশেষ করে মহিলামহলে সংস্থাটির উদ্ভাবনী নেল পলিশ ও লিপস্টিকগুলির কদর ছিল অত্যন্ত বেশি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি পালটেছে। আত্মপ্রকাশ করেছে বেশকয়েকটি স্টার্টআপ। বিশেষ করে বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে নেয় কাইলি জেনারের মতো সেলিব্রিটিদের নতুন ব্র্যান্ডগুলি। নতুন প্রজন্মের তরুণীদের মন অনেকটাই দখল করে নিয়েছে জেনারের সংস্থা ‘কাইলি কসমেটিক্স’ বা রিহানার ‘ফেনটি বিউটি’। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে করোনা মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

[আরও পড়ুন: পয়গম্বর বিতর্কে চাপ বাড়ল ভারতের! এবার নূপুর শর্মার মন্তব্যের নিন্দা আমেরিকার

রয়টার্স সূত্রে খবর, নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে জোগান জটকেই দায়ী করেছে রেভলন। তারা জানিয়েছে, বিশ্বে দ্রুত পরিস্থিতি বদলের জেরে কাঁচামালের জোগানে টান পড়েছে। অন্যসময় যে জোগানদাররা ধারে কাঁচামাল দিত এবার তারাই সঙ্গে সঙ্গে টাকা চাইছে। আদালতে জমা দেওয়া এক নথিতে রেভলনের চিফ রিস্ট্রাকচারিং অফিসার রবার্ট কারুসো লেখেন, “রেভলনের একটি লিপস্টিক তৈরি করতে ৩৫ থেকে ৪০ রকমের সামগ্রী লাগে। প্রসাধন সামগ্রীটি বাজারে আনতে এর সবক’টিই প্রয়োজনীয়। আর এই কাঁচামালের জোগান অত্যন্ত কমে গিয়েছে। অন্য জায়গা থেকে তা জোগাড় করতেও কড়া প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, কোম্পানি নিজের ব্যবসা বাঁচাতে ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। কোম্পানির উপর ঋণ রয়েছে প্রায় ৩.৩১ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, করোনার পর ফের কোম্পানির নানা দ্রব্যের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু মুশকিল হয়েছে অন্যত্র। রেভলন নিজেদের তৈরি প্রোডাক্ট সরবরাহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এছা্ড়াও নানা প্রতিদ্বন্দ্বী চলে আসায় বাজারেও কড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছে এই কোম্পানিটি। ছোট কোম্পানিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের প্রোডাক্ট সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না রেভলন।

[আরও পড়ুন: চরম আর্থিক সংকট পাকিস্তানে, এক ধাক্কায় ২৯ শতাংশ বাড়ল পেট্রোপণ্যের দাম

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement