সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তৃতীয় শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে উঠল শর্টফিল্ম বিতর্ক। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যে ছবি ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার কথা মহালয়ায়, তা বন্ধের শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানালেন তরুণীর পরিবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে তাঁর আরও আবেদন, এ বিষয়ে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হোক। তা শুনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দেন।
সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হয়। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী হিসেবে এদিনই প্রথম সওয়াল করেন বৃন্দা গ্রোভার। এর আগে পর্যন্ত তাঁদের আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন বৃন্দা আবেদন জানান, আর জি কর নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানানো হয়েছে। তাঁর আর্জি, ওই ছবিটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হোক। তা শুনে প্রধান বিচারপতি প্রথমে জানান, ওই ছবিটি বন্ধের নির্দেশ দিতে হলে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। তখন বৃন্দা ফের আর্জি জানান, সোশাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার ছবি, ভিডিও আর যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, সেই নজরদারির জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হোক। নির্যাতিতার ছবি-সহ তথ্য দেখলেই তা মুছে ফেলতে এই নোডাল অফিসার নিয়োগ জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সোশাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার নাম-পরিচয় নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ ছিল প্রধান বিচারপতির। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, “সমাজমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে মৃতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনে ভুল করা হয়েছে। তা মুছে ফেলতে হবে।” কিন্তু তার পরও সোশাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি দেখা যাচ্ছে। এদিনের শুনানি সেই প্রসঙ্গ তুলেই নোডাল অফিসারের কথা বলেছেন পরিবারের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন ‘আগমনী তিলোত্তমার গল্প’ নামে একটি শর্টফিল্ম ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। যা আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষাপটে তৈরি। কিন্তু বিতর্কের মুখে পড়ে এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় ছবি মুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছবি নির্মাতা প্রান্তিক চক্রবর্তী, রাজন্যা হালদার।