গোবিন্দ রায়: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়। তথাকথিত মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে সন্দীপ ঘোষের করা মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আর জি কর কাণ্ডে তাঁর ভূমিকা এবং জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত যাবতীয় খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলেন সন্দীপ। কিন্তু হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার মামলাকারীর আর্জি খারিজ করে দিয়ে জানান, এই পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের উপরে সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজন নেই।
আর জি কর কাণ্ডের জেরে প্রথমে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরে ‘মিডিয়া ট্রায়ালে’র বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি আবেদন করেন, সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ হোক। কিন্তু বিচারপতি শম্পা সরকার জানিয়ে দিলেন, এখনই সংবাদ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রয়োজন বোধ করছে না আদালত। তবে নির্দিষ্ট কোনও খবরে আপত্তি থাকলে প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারেন বা মানহানির মামলা করতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমা! তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে হুলস্থুল]
সন্দীপ ঘোষের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, যাতে তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে। কিন্তু আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মামলাকারী এমন কোনও তথ্য দেখাতে পারেননি যাকে মিডিয়া ট্রায়াল বলা যায়। জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া নিয়েও সংবাদমাধ্যমে এখনও কোনও উস্কানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তাই এই অভিযোগ খাটে না।
[আরও পড়ুন: অপসারিত সন্দীপ, নিরাপত্তায় মোতায়েন আধাসেনা, এবার কি কাজে ফিরবেন চিকিৎসকরা?]
তবে একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের জন্যও একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। বিচারপতি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত খবরে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে কোনও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে না। জিজ্ঞাসাবাদের কোনওরকম নাট্যরূপ প্রকাশ করা যাবে না। বিতর্কের আয়োজন হলে তাতে অতিথিদের মতামত যে সংবাদমাধ্যমের মতামত নয়, সে ব্যাপারেও বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিতে হবে।