সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করে চার্জ গঠন করেছেন তদন্তকারীরা, সেই সিভিক ভলান্টিয়ারদেরই কেন রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে? এনিয়ে হাজার আপত্তি, শীর্ষ আদালতের সাবধানবাণী সত্ত্বেও কেন তাঁদের উপর এত আস্থা? মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানিতে এমনই সব প্রশ্নের উত্তর দেবে রাজ্য সরকার। সিভিক নিয়োগ নিয়ে আগের একাধিক শুনানিতে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বক্তব্য চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মঙ্গলবার হলফনামা আকারে সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি সিবিআই-কেও পেশ করতে হবে স্ট্যাটাস রিপোর্ট।
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা তোলপাড় ফেলেছিল গোটা দেশে। এর পর শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে। অক্টোবরের শুনানিতেই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত সওয়াল-জবাবে চিকিৎসকদের সংগঠনের মতামতকে মান্যতা দিয়েই সিভিক নিয়োগ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। তার মধ্যে অন্যতম -
- কোন আইনে পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে?
- নিয়োগে পদ্ধতি কী? কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সিভিকদের নিয়োগ করা হচ্ছে?
- সর্বশেষ প্রশ্ন ছিল, সিভিকদের বেতন সংক্রান্ত। তাঁদের বেতনের জন্য কত অর্থ বরাদ্দ করা হয়?
পুজোর ছুটির পর শুনানিতে রাজ্যকে এসব জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর সেই মামলার ফের শুনানি। আর এদিনই রাজ্যকে এসব প্রশ্নের জবাব হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। পাশাপাশি সিবিআই-কেও দিতে হবে স্ট্যাটাস রিপোর্ট। কারণ, ইতিমধ্যে আর জি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সোমবার তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনও হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। ১১ নভেম্বর থেকে রোজ শুনানি হবে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এসব নতুন তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জানাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। দুপুর ২টোর পর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তার আগে আর জি কর মামলা সম্ভবত আজই শেষবারের মতো শুনবেন তিনি। পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না। এর পর থেকে মামলা চলতে পারে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।