অর্ণব আইচ ও বিধান নস্কর: এবার সিবিআইয়ের নজরে এক পুলিশকর্মী। মঙ্গলবার এএসআই অনুপ দত্তকে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। বর্তমানে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের বারাকে এই অনুপের সঙ্গে থাকত সঞ্জয়। সেদিনের ঘটনার পর এই পুলিশ কর্মীকেই ফোন করেছিল সে। তাহলে কি অনুপই সঞ্জয়ের 'গডফাদার ছিলেন? উত্তর খুঁজছে সিবিআই।
এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে এএসআই অনুপ দত্ত। তবে সেখানে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই দৌড় দেন তিনি। সংবাদকর্মীরা ওই পুলিশকর্মীকে একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। সূত্রের দাবি, ৮ আগস্ট সেই অভিশপ্ত রাতে অনুপকেই ফোন করেছিল সঞ্জয়। সেই রাতে কী কথা হয়েছিল দুজনের? আর জি করের নৃশংসতার কথা কি পুলিশ কর্মীকে ফোনে জানিয়েছিল সঞ্জয়? তাঁর প্রশয়েই কি রাতে পুলিশ বারাকে ফিরে ঘুম দিয়েছিল সঞ্জয়? এই সমস্ত প্রশ্ন উত্তর অনুপের থেকে জানার চেষ্টা করবে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ কর্মী! নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের]
এদিকে সঞ্জয়কে আজ শিয়ালদহ কোর্টে তোলার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাকে এদিন আদালতে তোলা হয়নি। সিবিআই বলেছে, ২৩ তারিখ বা তার আগে কোর্টে তোলা হতে পারে। ওইদিন পরবর্তী শুনানি।
মাস তিনেক আগে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Hospital) এক মহিলা চিকিৎসকের ‘শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তার পরও কেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? তদন্ত শুরুর পর এই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও সঞ্জয় রায় নিজেকে ‘ক্ষমতাবান’ বলে পরিচয় দিত। গত কয়েকমাস ধরে মহিলা চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের শ্লীলতাহানি, হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। এই ব্যাপারে তার মদতকারী কে বা কারা, সেই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। তবে কি অনুপই ছিল সঞ্জয়ের ক্ষমতার উৎস? উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।