অর্ণব আইচ: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ৮৭ দিন পর শুরু হল চার্জ গঠন প্রক্রিয়া। শিয়ালদহের জেলা ও দায়রা আদালতে সোমবার অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে পেশ করা হয়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে এই সঞ্জয় রায়ের নামই রয়েছে। বিচারক রুদ্ধদ্বার কক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া। গত ৯ আগস্ট আর জি করের ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠন শুরু হল। সূত্রের খবর, ১১ নভেম্বরের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন শুনানি হবে। এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় দায়ী করল সরকারকে। তার কথায়, ''সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।''
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। অক্টোবর মাসে সেই চার্জশিট গঠন করা হয়েছিল। এর পর সোমবারের শুনানিতে শিয়ালদহ আদালত চার্জ গঠনের দিন ঘোষণা করতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে চার্জশিট পেশের ২৮ দিন পর, এদিন থেকেই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল।
এদিকে, আদালতে দাঁড়িয়ে ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে সঞ্জয় রায়। তার বক্তব্য, ''আমি যখন বলেছি, আমার কথা শোনেনি। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব কিছু বার হচ্ছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমি বললাম যে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে সেখানেও যেতে দিল না। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি পুরোপুরি নির্দোষ।'' এর আগেও শুনানির সময় একাধিকবার সঞ্জয় বার বার দাবি করেছে, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এদিনও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিত মণ্ডল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করতে চায় সিবিআই। তবে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত প্রমাণ এখনও হাতে আসেনি বলে খবর সূত্রের।
এনিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা মিডিয়া কমিটির অন্যতম সদস্য কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ''পুলিশ সঞ্জয়কে প্রথম গ্রেপ্তার করে। সিবিআই তাকেই দোষী বলে ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট দিয়েছে। সিবিআই এখন সঞ্জয়কে দোষী বলে চার্জশিট দিয়েছে, তাহলে মেনে নিন পুলিশের গ্রেপ্তার ঠিক ছিল। এটা তদন্তের বিষয়। কিছু মন্তব্য করব না।''