সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'আলোচনার পথ আমাদের তরফ থেকে খোলা রয়েছে', সন্ধে থেকে টান টান নাটকের পর স্বাস্থ্যভবনের কাছে ধরনাস্থলে ফিরে এসে বার্তা দিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে সরকারের তরফে আলোচনার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
দীর্ঘ টালবাহানার পর শনিবার জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেরাই চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে। তাঁদের মেইল পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডেকে নেওয়া হয় কালীঘাটে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফের বেঁকে বসেন চিকিৎসকরা। লাইভ স্ট্রিমিং না হলে বৈঠক হবে না, প্রথমে এই দাবিতে অনড় থাকেন আন্দোলনকারীরা। এর পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে তাঁদের কাছে আবেদন করেন বাড়িতে আসার জন্য। যদিও তাতেও আন্দোলনকারী অনড় থাকায়, আলোচনা না করেই ফিরে যান স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত আলোচনায় রাজি হয়েছিলেন তবে চন্দ্রিমা বলেন, 'আমাদের সঙ্গে আলোচনার সময় অতিবাহিত।'
এর পর আন্দোলনস্থলে ফিরে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে আলোচনায় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দলকারীদের তরফে জানানো হয়, "আমরা আলোচনায় রাজি হয়েছিলাম। হয়ত একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওনারা বললেন আমাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। সকালে উনি বলেছিলেন উনি আন্দোলনের ফসল তাহলে আজকের এই ঘটনা আন্দোলনকে অবমাননা নয়! এই যদি হয় তবে আমারা কীভাবে আশা- ভরসা রাখব।" একইসঙ্গে যোগ করেন, "আমাদের দিক থেকে আলোচনার পরিসর খোলা থাকবে। আলোচনায় আমরা রাজি। আমাদের যে ফ্রন্ট তৈরি হয়েছে সেখান থেকে আলোচনায় বসার আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।"
এদিকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেপ্তারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। ধর্নামঞ্চের এক প্রতিনিধি বলেন, "আমরা ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেছি। আমরা ঘাড় নোয়াইনি। আরও কত অপরাধী বাইরে আছে! সব জেলের ঘানি টানবে। আজ আমাদের বোন একটু শান্তি পাবে। আমাদের শিরদাঁড়া কেউ বাঁকাতে পারবে না।" আরজি করের ঘটনাকে 'প্রাতিষ্ঠানিক মার্ডার' বলে তোপ দেগে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি বলেছেন, 'সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার খবরটা ওঁরা পেয়েছেন। তাই আর মিটিং করার সাহস পাননি।'