সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীঘাটের বৃষ্টিভেজা সন্ধেয় কি নতুন নজির সৃষ্টি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো পদে আসীন হয়েও যে একাত্মতা, যে আন্তরিকতা দেখালেন মমতা দেখালেন, সেটা এক কথায় নজিরবিহীন।
জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেরাই চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে। তাঁদের মেইল পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডেকে নেওয়া হয় কালীঘাটে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফের বেঁকে বসেন চিকিৎসকরা। লাইভ স্ট্রিমিং না হলে বৈঠক হবে না। এই দাবিতে অনড় রয়ে গেলেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বৈঠক শুরু করা গেল না নির্ধারিত সময়ের দুঘণ্টার পরও। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। এদিকে ভিতরে অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় দুঘণ্টা আন্দোলনকারীদের পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে।
শেষে নিজে বেরিয়ে এলেন মমতা। মমত্ব মাখানো সুরে জুনিয়র ডাক্তারদের বললেন, "তোমরা আমার সঙ্গে কথা বলতে না চাইলে বলো না। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজো না। কথা বলতে না চাইলেও ভিতরে এসো এক কাপ চা খেয়ে যাও।" তাতেও সাড়া মিলল না। ফের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি উঠল পড়ুয়াদের তরফে। এর পরই মমতার প্রশ্ন, এত অসম্মান কেন করছেন আপনারা? এর আগে নবান্নেও দুদিন অপেক্ষা করেছি। আজও দুঘণ্টা অপেক্ষা করছি।" এর পর কার্যত কাতর সুরে প্রশ্ন, "এটুকু সম্মানও দেবে না।"
যে স্বচ্ছ্বতার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, সেই স্বচ্ছ্বতার প্রশ্নেও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের বললেন, "আমি আন্দোলনকে সম্মান করতে জানি। তোমরা আসার আগে আমি ছুটে গিয়েছিলাম। কোনও রাজনীতি নয়, মানুষের স্বার্থে এসো কথা বলো। সম্পূর্ণ আলোচনার মিনিটস সই করা হবে। দুই তরফে ভিডিও রেকর্ড করা হবে। শীর্ষ আদালতের অনুমতির পর তোমাদের দেব।" কিন্তু এত আশ্বাস সত্ত্বেও কাজ হয়নি। নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বৈঠক না করেই বেরিয়ে গিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।