গোবিন্দ রায়: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তাঁর পরিবারের নিরাপত্তায় যেন কোনো ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। যদিও এখনই বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে বলে আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট নাইট শিফটে থাকা তরুণী চিকিৎসক নৃশংসভাবে খুন হন (RG Kar Doctor Death)। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার সময় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর অপসারণের দাবিতে সরব হন মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের একাংশ। লাগাতার চাপের মুখে গত ১২ আগস্ট, ঘটনার 'নৈতিক দায়' নিয়ে 'স্বেচ্ছা'য় পদত্যাগ করেন সন্দীপ। পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে পুনর্বাসন দেয় রাজ্য সরকার। ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হন তিনি। তবে সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: তরুণী ডাক্তারের খুনের পরই উধাও আর জি করের PGT যুগল, দানা বাঁধছে রহস্য]
ইতিমধ্যে নিরাপত্তার দাবিতে গত ১৬ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ ঘোষ। ওইদিন মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে সিবিআই পাকড়াও করে। নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। তার পর টানা ৬ দিন জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। বুধবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল। আদালত মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন,"পুলিশ নিরাপত্তা দেয়নি? কোন ধরনের হামলার আশঙ্কা করছেন? আপনার এলাকায় পুলিশ নেই? রাজ্যের বক্তব্য কি? যা ঘটার সেটা ঘটেছে। কিন্তু এখন?"
মামলাকারীর আইনজীবী জানান, "প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের কাছে নিরাপত্তার কাছে আবেদন জানানোর কথা বলে। আমার মক্কেল (সন্দীপ ঘোষ) প্রতিদিন সিবিআই অফিসে দৌড়তে হচ্ছে। গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার পর থেকে তাঁর বাড়ির সামনে কয়েক হাজার লোকের জমায়েত হয়।" রাজ্যের তরফে জানানো হয়, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পিকেট রয়েছে। মোবাইল ভ্যান এলাকায় রয়েছে। বেলেঘাটা থানার ওসি পদক্ষেপ করেছেন।