সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে যে সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল, তাঁদের উপযুক্ত থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেনি রাজ্য সরকার। ফের সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানাল কেন্দ্র। যদিও রাজ্যের দাবি, সিআইএসএফ জওয়ানদের সবরকমের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, সিআইএসএফের ৩ কোম্পানি লেডি কনস্টেবল মোতায়েন করার কথা আর জি করে। কিন্তু তাঁদের থাকার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে দেড় ঘণ্টা দূরে। রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল অবশ্য দাবি করেন, সবার উপযুক্ত থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। আরও ২ কোম্পানি মোতায়েন করা বাকি।
[আরও পড়ুন: বিদেশি নম্বর থেকে মেসেজ, কংগ্রেসে যোগ দিতেই খুনের হুমকি বজরং পুনিয়াকে!]
সোমবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সিনিয়র অফিসার এবং সিআইএসএফের সিনিয়র অফিসারেরা আলোচনা করে পুরো বন্দোবস্ত করবেন। আদালতের নির্দেশ, সোমবারই রাত ৯টার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সিআইএসএফকে দেবে রাজ্য। রাজ্যের তরফে RMA কোয়ার্টার, আর জি কর কলেজ এবং ইন্দিরা মাতৃ সদনে জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করার কথা। রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে মনোনীত আধিকারিকরা যৌথভাবে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
[আরও পড়ুন: আর জি কর ইস্যুতে সুপ্রিম শুনানি, তদন্তের অগ্রগতি কতদূর? নানা প্রশ্নের মুখে সিবিআই]
কেন্দ্রের এই নালিশ নিয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমরা তিনটি জায়গা দিয়েছি। কিন্তু তাতেও ওদের হচ্ছে না। এবার কমিউনিটি হলগুলি চাইছে। ওগুলো এলাকার মানুষের জন্য। কমিউনিটি হলগুলি দিয়ে দিলে সাধারণ নাগরিকদের কী হবে?" মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব, দরকার হলে আর জি করের পাশে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ীভাবে সিআইএসএফকে জায়গা করে দেওয়া হবে। দরকার পড়লে পুলিশ বারাকে জায়গা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এভাবে রোজ রোজ বেশি জায়গা চাইলে ঘিঞ্জি এলাকায় সেটা দেওয়া সম্ভব নয়।