ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: তরুণী চিকিৎসকের যৌন হেনস্তা-খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের মাঝেই মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢালল। মুখ্যমন্ত্রীর করজোড় অনুরোধে যদি বা শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ভাবছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, কিন্তু মাঝরাতে তাণ্ডবে আপাতত সেই ভাবনা শত হস্ত দূরে। উলটে শুক্রবার থেকে নতুন করে আরও জোরদার আন্দোলনে নামছেন তাঁরা। এবার শামিল হচ্ছেন নার্সরাও (Nurse)। এদিকে, হামলার জেরে আর জি কর হাসপাতালের অন্তত ১৮ টি বিভাগ কার্যত তছনছ। চিকিৎসা পরিষেবা আপাতত শিকেয় উঠেছে।
আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের রাতে 'রাত দখল করুক মেয়েরা' - এই শিরোনামে প্রতিবাদ (Protest) আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিভিন্ন মহল। তাতে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝরাতে রাত দখল করতে রাস্তায় জড়ো হন সমাজের নানা স্তরের মহিলারা। আর জি কর হাসপাতালের গেটেও জমায়েত করেন চিকিৎসকরা। আর সেই সুযোগে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের সামনে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন বহিরাগত হামলাকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, প্রথম ৫ থেকে ৭ জনের একটি দল। তার পর শতাধিক দুষ্কৃতী কার্যত ভিতরে ঢুকে জরুরি বিভাগে (Emergency) হামলা চালায়। এমনকী সমস্ত যন্ত্রপাতি ভেঙেচুরে, খুলে ফেলে।
[আরও পড়ুন: আর জি কর হাসপাতালে রাজ্যপাল, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা, সুবিচারের আশ্বাস]
আরও জানা যাচ্ছে, সেসময় সেখানকার নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ তাণ্ডবের মুখে পড়ে মহিলাদের শৌচালয়ে লুকিয়ে পড়তে বাধ্য হয়। এর পর কার্যত ধ্বংসলীলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাইপ্যাপ (Bi-Pap)খুলে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। প্রচুর ওষুধ নষ্ট করা হয়েছে। কাজের পরিস্থিতিই নেই। এই মুহূর্তে চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ শিকেয় উঠেছে! এদিন হাসপাতালের নার্সরাও বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। নতুন অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পাল হাসপাতালে গেলে তাঁকে রীতিমতো ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।