কৃষ্ণকুমার দাস: নবান্নের বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছিল সাসপেনশন নিয়ে। তার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই 'থ্রেট কালচারে' ৫৩ জন চিকিৎসককে সাসপেনশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের। সাফা জানানো হল, আপাতত সাসপেনশনের নির্দেশ কার্যকরী নয়।
অভয়ার মৃত্যুর রেশ ধরেই উঠে আসে আর জি করে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ। পরবর্তীতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ওঠে সেই প্রসঙ্গ। আলোচনা চলাকালীন আর জি করের অধ্যক্ষ ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “প্রশাসনকে না জানিয়ে কেন সাসপেন্ড করলেন। কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়? আমাদের জানালেন না কেন? স্বাস্থ্যবিভাগকে জানালেন না কেন? সরকার বলে একটা পদার্থ আছে।” বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-ডাক্তারি ছাত্রদের মধ্যে বাদানুবাদ তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, “তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছেমতো কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় আছি বলে থ্রেট করতে পারি না।’’ পরবর্তীতে যাতে কলেজ নিজে কোনও পদক্ষেপ না করে সেই নির্দেশও দেন তিনি।
সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই বড়সড় ঘোষণা। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, আর জি করের তরফে দেওয়া সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর হবে না। পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। উল্লেখ্য, সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের একাংশ বিষয়টার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কোনও কারণ দেখিয়েই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।