সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: "আরও একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করবে দেশ?" মঙ্গলবার আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar Hospital Case) এই ভাষাতেই তোপ দেগেছে সুপ্রিম কোর্ট। এইসঙ্গে কলকাতা পুলিশ এবং আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। এদিন উষ্মাপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার পরেই এফআইআর দায়ের করল না। পাশাপাশি মাঝরাতে হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে রিপোর্ট তলব করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
আরজি করের ঘটনায় রবিবারই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে শুনানির জন্য। শুনানিতে বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, ঘটনাটি যে খুন তা স্পষ্ট ছিল। প্রথম এফআইআরে তা উল্লেখ করা হয়েছিল কি? এর পরেই প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বে দ্রুত ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি কেন্দ্রের]
একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন রাজ্যের সরকারের তরফের আইনজীবী। শীর্ষ আদালত জানতে চায় কেন এই ঘটনাকে প্রথমে আত্মহত্যা বলা হল? কেন এফআইআর দায়েরে দেরি? কেন হাসপাতালে ডাক্তারদের আলাদা বিশ্রামকক্ষ থাকবে না? কেন পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নতুন পদে নিয়োগ করা হল অধ্যক্ষকে? অধ্যক্ষকে নিয়ে আপনারা (রাজ্য) কী ভাবছেন? মাঝরাতে হাসপাতালে কারা হামলা চালাল? এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মন্তব্য করে, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন ভয় ধরানো ঘটনা। এত বড় ঘটনায় চুপ থাকা যাবে না, কিছু একটা করতেই হবে। আরও একটা ধর্ষণের জন্য কি অপেক্ষা করবে দেশ।