ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও নব্যেন্দু হাজরা: আচমকা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে তলব। তবে তিনি একা নন, আরও তিনটি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকেও নবান্নে তলব করা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ে আলোচনা হয়। তবে গণইস্তফা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও খবর নেই। তাঁদের কাছে কোনও নথি নেই।
মঙ্গলবার সকালে গণইস্তফার পথে হেঁটেছে আর জি করের ৫০ সিনিয়র ডাক্তার। তবে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রোগীদের পাশ থেকে সরছেন না। হাসপাতালে থাকছেন। চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন তাঁরা। তবে নবান্ন ও স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের গণইস্তফার কোনও খবর নেই প্রশাসনের কাছে। বিকেলে সিনিয়র ডাক্তারদের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের পাশে তাঁরা আছেন। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে অংশ নিতেও রাজি।
এদিকে এদিন এসএসকেএম, আর জি কর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ মোট ৪ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকে নিয়ে রিভিউ বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়। জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলি ভারচুয়ালি বৈঠকে ছিলেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ কতদূর? কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।