অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাতের শিফটে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার মেয়ে। আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) সেমিনার হলে ধর্ষণ-খুন। এমন ঘটনার অভিঘাত সামলাতে স্বাভাবিকভাবেই সংগ্রাম করছে পরিবার। একমাত্র মেয়েকে এভাবে হারাতে হবে না, দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি কেউ। তা সত্ত্বেও মেয়ের সঙ্গে এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে চোখের জল সামলে তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তুলে দিচ্ছেন খুঁটিনাটি তথ্য। আর তাতেই এক ভিন্নতর তথ্য প্রকাশ করলেন মৃতার বাবা। প্রকাশ করলেন সংশয়ও। তিনি জানান, গত মার্চে বাইক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল মেয়ে। সেই ঘটনা আজকের মর্মান্তিক পরিণতিরই আভাস ছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তখনই কি মেয়েকে কেউ খুন করতে চেয়েছিল (Attempt to murder)? উঠছে প্রশ্ন।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবা জানালেন, ''মার্চ মাসে বাইক দুর্ঘটনা হয়েছিল। মেয়েকে একটি বাইক ধাক্কা দিয়েছিল। জানি না, সেই ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কি না।'' তাঁর মায়ের কথায়, ''মেয়ে বলত আর জি করে আর ভালো লাগে না। তবে ও আমাদের টেনশন দিতে চাইত না। তাই বেশি কিছু বলত না।'' দিনলিপি (Diary) লিখত মেয়ে। যেদিন তাঁর সঙ্গে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটে, সেদিনও সব লিপিবদ্ধ করেছিল। সেই ডায়রি পুলিশ তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করেছে। তা নিয়ে আপত্তি জানালেন তরুণী চিকিৎসকের মা। প্রশ্ন তুললেন, ''মেয়ের ডায়রি কোথায়?'' যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ডায়রি দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে (CBI)।
[আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলের আদলে আর জি করে পরিকল্পিত হামলা! ইঙ্গিত মিলেছে, দাবি পুলিশের]
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্যই হাতে আসছে তদন্তকারীদের। তার চেয়েও বেশি গুঞ্জন-ফিসফাস শুরু হয়েছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, নির্যাতিতা তরুণী আগে থেকেই চিকিৎসকদের একাংশের টার্গেট ছিলেন। তাঁর গবেষণার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ জড়িত ছিলেন বলেও গুঞ্জন। তাহলে কি মার্চে বাইক দুর্ঘটনায় (Bike Accident) তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল? যা নিছকই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হয়েছিল তখন? চূড়ান্ত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মা-বাবার মনেও দানা বাঁধছে সেই প্রশ্ন।