সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্যের ২৫ বছর উদযাপন করেছিলেন CAA এবং NRC’র বিরুদ্ধে শাহিনবাগের প্রতিবাদী সভায় গিয়ে। বরাবর রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক ইস্যুতে সরব থেকেছেন কৌশিক সেন। ছেলে ঋদ্ধিও তাই। সোশাল মিডিয়ায় প্রায়শই তাঁর প্রতিবাদী পোস্ট দেখা যায়। এবার আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে কলকাতার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেন রেশমি সেন, কৌশিক সেন এবং তাঁদের সন্তান ঋদ্ধি সেন।
আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত তরুণী ডক্তার খুন-ধর্ষণের ঘটনা আমজনতা থেকে সেলেব সকলের কপালেই ভাঁজ মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি হাসপাতালে যদি একটা মহিলা চিকিৎসকের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে পথেঘাটে নিত্যদিন চলা মেয়েরা কতটা নিরাপদ? কেউ বা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সেই আবহেই স্বচ্ছ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কলেজ স্কোয়ারের প্রতিবাদী মিছিলে হাজির হয়েছিলেন কৌশিক, ঋদ্ধি, রেশমিরা। কৌশিক-রেশমির পরনে কালো পোশাক। ঠিক যেমনটা অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে গিয়ে বসেছিলেন কালো পোশাকে। সোমবার বিকেলেও কৌশিক-রেশমিকে দেখা গেল সেই একই রঙের পোশাকে। এই রং-ই যেন ইঙ্গিত দেয় তাঁদের প্রতিবাদী বার্তার।
[আরও পড়ুন: ‘রাত দখল করুক নারীরা’, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মধ্যরাতে পথে নামার ডাক স্বস্তিকার]
বিকেল ৪টে থেকে এই নাগরিক মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে থেমেছে আর জি কর হাসপাতালের সামনে। কলকাতার সমস্ত পথ যেন মিশে গিয়েছে সেখানেই। রেশমি সেন বলছেন, "এই ঘটনা আমাদের প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে বলেই আমরা রাস্তায় নেমেছি।" ঋদ্ধির মন্তব্য, "এই জঘন্য ঘটনার বিচার চাই। কিন্তু সেই সুবিচার পাওয়ার পথে যে হস্তক্ষেপগুলো হচ্ছে, যেভাবে ঘটনাটা সরলীকরণ করা হচ্ছে, ঘটনা কিন্তু ততটাও সোজা নয়। এর মধ্যে আরও অনেকের যোগাযোগ রয়েছে। কেবল একটি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার ঘাড়ে সব দোষ চাপালে চলবে না। মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসছে, কেন পুলিশ প্রথমে আত্মহত্যার তত্ত্ব তুলে ধরতে চেয়েছিল? সেই প্রশ্নও আসছে। জনগণের থেকে অনেক তথ্য গোপন করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, এই তথ্য গোপন করা যাবে না। আমাদের বিচার চাই আর প্রত্যেকটি দোষীর শাস্তি চাই অবিলম্বে।"
অন্যদিকে আরেক প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হওয়ার কথা জানিয়েছেন অপর্ণা সেনও। ফেসবুকে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, "আমি দুই কন্যার বাবা। এই শহরে থাকতে আমার ভয় হচ্ছে এখন।"