অর্ণব দাস, বারাকপুর: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সদর্থক বৈঠকের পরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ প্রশাসনে একাধিক রদবদল হয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই জয় হিসাবে দেখছেন না নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের সাফ কথা, "এটাকে জয় বলব না। আমরা খুশিও নই। জয় সেদিনই হবে, যেদিন মেয়ের আসল খুনিরা ধরা পড়বে এবং বিচার হবে।"
মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ বারবার তুলেছিলেন তাঁরা। সোমবার সোদপুরের নাটাগড়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফের সে ব্যাপারে সুর চড়ান নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যুক্ত সকলকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি তুলে তাঁরা জানান, "মেয়ের সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তথ্য লোপাটের সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে যেন তদন্তের আওতায় আনা হয়। তাদেরও যেন শাস্তি হয়। প্রথম থেকেই আমরা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছি। এখন প্রমাণ লোপাটের ঘটনা বেরিয়ে আসছে। এভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হলে তদন্তকারী সংস্থার সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তবুও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে।" তাঁদের আশা, "কারা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে সেটা আস্তে আস্তে বেরবে।"
সিংহভাগ দাবি মানায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তবে এখনও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি আন্দোলনকারীরা। মৃতার বাবা এই বিষয়ে অবশ্য তেমন প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, "ওঁরা খুব কষ্ট করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।" সুপ্রিম কোর্টের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া তাঁদের চিঠি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেননি। কান্না ভেজা গলায় মায়ের একটাই আক্ষেপ, "মেয়েকে হারানোর পর প্রশাসনের টনক নড়বে! ২০২১ সালে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। তখন যদি পদক্ষেপ নিত, তাহলে আমার কোল ফাঁকা হত না, মেয়েকে হারাতাম না।"