ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে সরকারি হাসপাতালে ভোগান্তি অব্যাহত। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে একাধিক রোগীর। এমন পরিস্থিতিতে 'সুপ্রিম' নির্দেশের কথা মনে করিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আলোচনার পথ খোলা রেখেও ডাক্তারদের আবারও কাজে ফেরার আবেদন জানানো হল সেই চিঠিতে। আলোচনার জন্য আজ বুধবার ১২-১৫ জন প্রতিনিধিকে সন্ধে ৬টার সময় নবান্নে যেতে বলা হয়েছে।
গতকাল আন্দোলনরত ডাক্তারদের আলোচনায় আসার আহ্বান জানিয়ে ইমেল করেছিলেম স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। কিন্তু বরফ গলেনি। চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, ইমেলের ভাষা অপমানজনক। যার অপসারণ দাবি করা হচ্ছে সেই আধিকারিকের থেকে ইমেল কোনওভাবেই আলোচনার ভিত্তি হতে পারে না।
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবারের পর বুধবারও তাঁদের আলোচনায় ডেকেছে রাজ্য প্রশাসন। একইসঙ্গে কাজে ফেরার বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রশাসনের কথায়, কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তি হচ্ছে আমজনতার। ব্য়াহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। ফলে প্রান্তিক মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। তাই তাঁদের কাজে ফেরার অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের সেই আবেদনে জুনিয়র ডাক্তাররা সাড়া দেবেন কি না সেটাই এখন দেখার।
[আরও পড়ুন: আত্মঘাতী মালাইকার বাবা, ব্রেকআপের যন্ত্রণা ভুলে দুঃসময়ে পাশে অর্জুন কাপুর]
মঙ্গলবার জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় ডেকে ইমেল করেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি ছিল, যার অপসারণ দাবি করা হচ্ছে সেই আধিকারিকের থেকে ইমেল কোনওভাবেই আলোচনার ভিত্তি হতে পারে না। এর পর বুধবার চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব। তাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা মনে করিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা মানেননি আন্দোলনকারীরা। এদিন ফের একবার তাঁদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনারও ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে তাঁদের দাবি মানা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে স্বাস্থ্যশিক্ষা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদারের পদত্যাগের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে স্বাভাবিক করতে সদিচ্ছা দেখিয়েছে রাজ্য। তাতে জুনিয়র ডাক্তাররা সাড়া দেয় কিনা সেটাই দেখার।