সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) মুখর হয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। কখনও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে, আবার কখনও পদযাত্রায় 'We Want Justice' স্লোগান দিয়ে বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা। কিন্তু 'সিনেমাপাড়ার একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর'-এ অনির্বাণ ভট্টাচার্যর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। 'খোকা' নিখোঁজের বিজ্ঞাপন দিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রযোজক রানা সরকার। তার পালটা জবাব দিলেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য।
ফেসবুকে দেবালয় লেখেন, "অনির্বাণ ভট্টাচার্য কেন নীরব, তাই নিয়ে দেখছি নানা ক্ষোভ। তিনি একজন শিল্পী। তাঁর কাজ নয় গিয়ে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রাখা। তাঁর কাজ তাঁর কাজে, নাটক সিনেমাতে তাঁর বক্তব্য রাখা। সেটা না করতে পারলে তাঁকে দুষতে পারেন। সেলিব্রিটি দিয়ে আন্দোলন হয় না। সর্বপ্রথম এই সবটা থেকে সেলিব্রিটিদের কোট আনকোট নিষিদ্ধ করা উচিত। ফুটেজকামী is the new sexuality।"
[আরও পড়ুন: ‘গাইতে আসব না?’, রাতে মেয়েদের কাজে বারণ নিয়ে ক্ষুব্ধ কৌশিকী, রূপম-শিলাজিৎ কী বললেন?]
এর পরই পরিচালক লেখেন, "আমরা শিল্পী। আমরা আমাদের কাজ কম বেশি করার চেষ্টা করি। হয়তো পারি না। ইতিহাস তার বিধান দেবে। মানুষ প্রতিবাদ করুক। সেলিব্রেটিরা ফানুস। আসিবে যাইবে ফুটেজ পাইবে। নেতা কই? কেন সেলেবদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ একটি পলিটিকাল লড়াই। সেলেবরা বলছে কারণ সুশীল সমাজে কোনও নেতা নেই। বিপক্ষ নেই।"
নিজের বক্তব্যের শেষে মহাত্মা গান্ধী ও ফিয়ারলেস নাদিয়ার উদাহরণ ব্যবহার করেন দেবালয়। তাঁর বক্তব্য, "ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে গান্ধীর কথা শুনতো লোকে ফিয়ারলেন নাদিয়ার বাইট নিত না। নিলে ট্রোল হোতো আমি নিশ্চিত। আমরা বিরোধী বানাতে পারিনি। আমাদের নেতা নেই, মুখপাত্র নেই। আমাদের কণ্ঠস্বর গরু নামক রচনা। এর জন্য আমরা দায়ী। কর্মফল...আর এর মধ্যে কেউ চেগে গিয়ে চিৎকার করল। আসছে বছর আবার হবে। বুঝতে পারেনি। ক্ষমা করে দেবেন তাদের।"